সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আসল কালপিট। জানা গিয়েছে সইফকে একাধিক ছুরির কোপ মেরেছেন যে ব্যক্তি, সে আসলে বাংলাদেশি। শনিবার কাকভোরে থানে থেকে ৩০ বছর বয়সী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। এদিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেরার মুখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে নিজের পরিচয় দিয়েছে এই ব্যক্তি। প্রথমে সে বলে, তার নাম বিজয় দাস। পড়ে জানা যায়, তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। আবার সে কখনও নিজেকে মহম্মদ ইলিয়াস বলেও পরিচয় দেয়।
মুম্বই পুলিশ জানাচ্ছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে থানেতে ঘন ম্যানগ্রোভ বনে ঘাপটি মেরে ঘুমিয়েছিলেন সে। যে জায়গাটি কিনা থানে (পশ্চিম) এর হিরানন্দানি এস্টেটে টিসিএস কল সেন্টারের পিছনে মেট্রো নির্মাণস্থলের কাছে। প্রথমে সেখানকার শ্রম শিবির ছিল ওই ব্যক্তি। ম্যানগ্রোভ বনে গিয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে। নিজেকে শুকনো পাতায় ঢেকে নিয়েছিল সে, ভেবেছিল সেখানে তাঁকে কেউ খুঁজতে আসবে না। এদিকে পুলিশ প্রথমে থানের ওই শ্রম শিবিরে তল্লাশির পর কাউকে না পেয়ে এলাকা ছাড়ার কথা ভাবছিল, তারপরই ফের একবার এলাকা তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয়। আর তারপরই ধরা পড়ে ওই হামলাকারী।
আরও পড়ুন-সইফের উপর একের পর এক ছুরির কোপ, অবশেষে থানে থেকে গ্রেফতার অপরাধী, কে এই ব্যক্তি?
পুলিশ ওই এলাকায় ঢোকার পর টর্চলাইটে দেখে কেউ একজন মাটিতে ঘুমোচ্ছে। একজন অফিসার এগিয়ে আসার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকটি উঠে দৌড়াতে শুরু করে। তবে সেখানে ছিল প্রায় ১০০ জন পুলিশ। তাঁরা পিছু নিয়ে তৎক্ষণাৎ ধরে ফেলে ওই ব্যক্তিকে।
ঠিক কোথায় লুকিয়ে ছিল এই বাংলাদেশি অপরাধী? থানের সেই ম্যানগ্রোভ বনের ছবি উঠে এসেছে হিন্দুস্তান টাইমস-এর ক্য়ামেরায়।



মুম্বই পুলিশ জানাচ্ছে, সইফ আলি খানের এই হামলাকারী ভারতে ঢোকার পর নিজের নাম বদলে রেখেছিল বিজয় দাস। জোন ৯ এর ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি ও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর সে নিজের নাম পরিবর্তন করে। তিনি নিজের বর্তমানে বিজয় দাস হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। তবে ওর নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ, বয়স ৩০। ৫-৬ মাস আগে মুম্বই আসেন তিনি। কিছুদিন মুম্বইয়ে ছিলেন, পরে মুম্বইয়ের আশেপাশে ছিলেন। অভিযুক্ত একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন’। অভিযুক্তর কাজ থেকে মিলেছে ভুয়ো নথিপত্র। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পরিচয় দেখাতে পারেনি সে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়েই সইফিনার বাড়িতে ঢুকেছিল সে। প্রথমবারই বান্দ্রার ওই বহুতলে প্রবেশ করে শরিফুল।