রবিবারই সাইফ আলি খানের হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সইফ-করিনার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার পর অভিনেতার উপর ৬ বার ছুরির কোপ মারে অভিযুক্ত। এরপর গত কয়েকদিনে ৫০০-র বেশি সিসিটিভি স্ক্যান করে এবং প্রায় ৩০ একর জায়গা স্ক্যান করার পর শাহজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরও পড়ুন-'বাংলাদেশি বলেই মামলা ঘোরানোর চেষ্টা চলছে', সইফের হামলাকারী ওপার বাংলার, মেনে নিল অভিযুক্তর উকিল
থানেতে জঙ্গল ঘেরা একটি এলাকায় একটি শ্রমিক বস্তি রয়েছে। সেখানেই গা-ঢাকা দিয়েছে ওই বাংলাদেশি। চিরুণি তল্লাশি করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল বান্দ্রার হলিডে কোর্ট ৩০ বছরের ওই যুবককে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তর এক বন্ধু সংবাদমাধ্যমে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেছেন। শরিফুলের বন্ধু রোহমত খান বলেন, তিনি কখনো ভাবেননি যে তার পরিচিত সহকর্মী এমন কিছু করতে পারেন। তিনিজানিয়েছেন, সইফ আলি খানের উপর হামলার খবর নিয়মিত নজর রাখছিলেন, বুঝতে পারেননি ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রাক্তন সহকর্মী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সইফ আলি খানের ওপর হামলার খবর আমি ক্রমাগত দেখছিলাম। আমি নিজেই ভাবছিলাম যে এমন হাই প্রোফাইল ব্যক্তির বাড়িতে কে ঢুকে তাঁকে এভাবে আক্রমণ করতে পারে। আমি যতদূর জানি, আমি ভাবিনি যে শরিফুল এত বড় কিছু ঘটাতে পারে’। মুম্বই পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজয় দাস পরিচয়ে বসবাসকারী শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তার পুরো নাম শরিফুল ইসলাম সাজ্জাদ মোহাম্মদ রোহিলা আমিন ফকির। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করায় তিনি ক্রমাগত তার পরিচয় পরিবর্তন করছিলেন। রবিবার থানের কয়েক একর এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর শরিফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হামলাকারীর বন্ধুর দেওয়া তথ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে এর আগে তিনি কী করছিলেন তাও জানান।
রোহমত জানান, শাহজাদ একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ পান এবং থানের একটি হোটেলে হাউসকিপিং সেকশনে কাজ করতেন। এই হোটেলের ক্যাফেটেরিয়া সেকশনে কাজ করতেন রহমত। তাঁর কথায়, ‘শরিফুলকে খুব ভালো স্বভাবের মানুষ বলে মনে হয়েছিল। তিনি তাঁর কাজ নিষ্ঠার সাথে করতেন এবং কারও সাথে তাঁর কখনও ঝগড়া হত না’।
রোহমত আরও বলেন অতীত নিয়ে সেভাবে আলোচনা করত না শরিফুল, কথা বলেনি নিজের পরিবার নিয়েও। সে যে বাংলাদেশের নাগরিক সেই সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই তাঁর।
ওদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন সইফ। মঙ্গলবারই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, শরিফুলকে সইফিনার ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে ক্রাইম সিন পুনর্নির্মাণ করতে পারে পুলিশ।