'তোমাদের এই হাসিখেলায়
আমি যে গান গেয়েছিলেম ... '
সম্ভবত এই কথাকেই স্মরণ করে এবার নিজের ঘর দুয়ার , সাফল্য -ব্যর্থতাকে দু মলাটে বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন কিংবদন্তি অভিনেতা সইফ আলি খান । সর্বভারতীয় প্রকাশনা সংস্থা হার্পারকলিন্স ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এই আত্মজীবনীকে হাতে পেতে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের । অক্টোবর ২০২১ থেকে ভক্তদের বইয়ের তাকে শোভা পেতে পারবে নবাব পুত্রের আত্মজীবনী ।
একটি বিবৃতিতে সইফ জানিয়েছেন , আমাদের জীবনের বহু স্মৃতি থাকে , বহু সময় থাকে যেগুলি সংরক্ষণ না করলে একসময় হারিয়ে যায় । সেই কারণেই আত্মজীবনীতে নিজের অনেক অভিজ্ঞতা , অনেক অজানা কথা লিখে যেতে চান এই জনপ্রিয় বলি অভিনেতা । তাঁর মতে মাঝেমধ্যে নিজের জীবনের পুরোনো ফেলে আসা অধ্যায় গুলোর দিকে খানিকটা স্বার্থপরের মতোই তাকিয়ে থাকতে , সেখানকার কিছু স্মৃতি মেলে ধরতে , উপভোগ করতে বড়ো ভালো লাগে । আশা করি পাঠকদের আমার এই প্রয়াস ভালো লাগবে '।
প্রকাশনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে,এই বইতে সইফ একদম তাঁর নিজস্ব সিগনেচার ভঙ্গিমায় , মজার চলে , তাঁর সারাজীবনের একাধিক অভিজ্ঞতার কথা , নিজের পরিবার , সাফল্য , ব্যর্থতা , উৎসাহ ইনস্পিরেশনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন পাঠক অনুরাগীদের দরবারে । সংস্থার সম্পাদক বুশরা আহমেদ বইটির ভূয়সী প্রশংসা করে সেটিকে মজার , তথাকথিত সামাজিক ধৃষ্টতার সীমা লঙ্ঘনকারী আবার প্রতিফলন সমন্বিত বলে উল্লেখ করেন । তাঁর মতে, ' সইফ এই যুগের খুব কম সংখ্যক অভিনেতাদের মধ্যে একজন যিনি নিয়মিত নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন , চর্চা করেন । তাঁর অভিনয়ে এর ছাপ দেখা যায় । তাঁর সিনেমা বরাবরই আমাকে আনন্দ দিয়েছে । আমি রীতিমতো উচ্ছসিত সইফের এই সিদ্ধান্তে ', জানান বুশরা ।
দিল চাহতা হায় , কাল হো না হো -র শহুরে ছেলের চরিত্র থেকে শুরু করে ওমকারা -র গ্যাংস্টার বা সাম্প্রতিক নেটফ্লিক্সের স্যাক্রেড গেমস এর পুলিশ অফিসার চরিত্র , দীর্ঘ তিন দশকের অভিনয় জীবনে কমার্শিয়াল থেকে ভিন্ন ঘরানার ছবি , সবেতেই সাবলীল ছিলেন সইফ । তাঁর আত্মজীবনী নিয়ে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে সারা দেশের ভক্ত মহলে ।