সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় দু'দিনই আগেই গোটা মুম্বই জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল। ঘটনার পর অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসাক পর ইতিমধ্যেই বাড়িও ফিরেছেন পতৌদিদের ছোটে নবাব। এদিকে থানে থেকে গ্রেফতারও করা হয়েছে হামলাকারীকে। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসছে নানান তথ্য। এখন জানা যাচ্ছে, সইফের উপর ছুরি দিয়ে হামলার পর নিজের দেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মোহাম্মদ রোহিলা আমিন ফকির।
গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা, তারপর সইফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও তাঁকে একাধিকবার ছুরি মারেন শরিফুল। জানা যাচ্ছে,ঘটনার পর (পশ্চিমবঙ্গে) কলকাতার হাওড়ায় চলে আসার পরিকল্পনা ছিল ফকিরের। পরে কলকাতা থেকেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন তিনি। আর তাতেই মুম্বই পুলিশের নাগাল থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন তিনি।
তবে পরিকল্পনাটি কখনই বাস্তবায়িত হয়নি, কারণ ফকির বুঝতে পেরেছিলেন যে পুলিশ পিছু নিয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি হাওড়া যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করেন তিনি। তবে অল্প সময়ের মধ্যে টিকিট কাটতে বলায় ট্র্যাভেল এজেন্টরা টাকা দাবি করেন। এদিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকিট হাতে পাওয়ার আগেই অভিযুক্তকে থানে থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।
শরিফুল যে এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট কাটার চেষ্টা করছিলেন মুম্বই পুলিশ সেই সমস্ত ট্র্যাভেল এজেন্টদের খুঁজে বের করে বলে জানা যায়। এই হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করবে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন-অগোছালো ঘরে হঠাৎ পাওয়া, মায়ের লেখা পুরনো ডায়েরি খুঁজে পেলেন রণজয়, কী আছে সেই ডায়েরিতে?
বাংলাদেশি শরিফুল
এদিকে ঘটনার পর হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে ইতিমধ্যেই নিজের ছেলে বলে সনাক্ত করেছেন বাংলাদেশের ঝালোকাঠি জেলার নলছিটি ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। ধৃত শেহজাদ রাহুল আমিন ফকিরের দ্বিতীয় ছেলে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এখবর প্রকাশিতও হয়েছে। এছাড়াও শেহজাদকে সেদেশের নাগরিক বলে স্বীকার করে নিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশও। ফলে ধৃতের নাগরিকত্ব নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই।
জানা যাচ্ছে, ধৃত শেহজাদের জন্ম রাজাবাড়িয়া গ্রামে। ছোটবেলায় বাবার চাকরির কারণে সে খুলনায় বেড়ে ওঠে। সীমান্তবর্তী খুলনা জেলায় অপরাধ ও পাচারে জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। এর জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তার নামে বিভিন্ন সময় নানা অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনকি তার নামে নিজের দেশে খুনের অভিযোগও রয়েছে। তবে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও জামিন পেয়ে গিয়েছিল শরিফুল।