সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলার ঘটনা এতদিনে কমবেশি সকলেরই জানা। ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার পর মঙ্গলবার বাড়িও ফিরেছেন সইফ। আবার এই হামলায় আক্রমণকারী বাংলাদেশি ধরাও পড়েছে। তবে এই ঘটনার তদন্তে সম্প্রতি উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।
জানা যাচ্ছে, ধৃত বাংলাদেশি ফকির ওরফে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রহিলা আমিন ফকির শাহরুখ খানের ভক্ত। তিনি নাকি সইফের বাড়িতে ঢোকার আগে মন্নতে ঢোকার পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন। যেকারণে তিনি মন্নতের দেওয়াল মাপঝোঁক করেও ফেলেন। গত ১৪ জানুয়ারি মন্নতে ঢোকার জন্য তিনি রেইকিও সেরে ফেলেছিলেন, বলে জানিয়েছে পুলিশ। মন্নতে ঢোকার জন্য৬-৮ ফুট লম্বা একটা লোহার মই এনেছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও এই মই এতটাই ভারি, তা একজনের পক্ষে সরানো ভীষণই কঠিন। তবে এই ঘটনায় শাহরুখ বা মন্নতের কোনও বাসিন্দার তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই খতিয়ে দেখছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল জনিয়েছেন, ‘তাঁর বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তাঁকে বলতেন যে তাঁকে দেখতে খানিকটা শাহরুখ খানের মতো। এই কথাগুলিই তাকে উজ্জীবিত করে।’
আরও পড়ুন-'বড় ভুল করতে চলেছ', বলেছিলেন তাঁরা! অমিতাভের কোন সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি বাড়ির লোকজন
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অপরাধের পর শরিফুল তার ফোন, টুপি, স্কার্ফ ও শার্ট সবই বদলে ফেলেছিল। পরে পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে সবই ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে। তবে সইফের ওপর হামলায় ব্যবহৃত ছুরিটির নিখোঁজ অংশের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সইফ আলি খানের বাড়িতে এই হামলা হয়। এরপর থানে থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি অপরাধী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদকে। জানা যাচ্ছে, ধৃত ব্যক্তি তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতেই আসলে চুরি করতে গিয়েছিলেন।
এখন প্রশ্ন, সইফ আলি খানের মতো সেলিব্রিটির অ্যাপার্টমেন্টে শরিফুল ঢুকলেন কীভাবে? জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশি ব্যক্তি ফকির ওরফে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রহিলা আমিন ফকির সেই আবাসনের মূল গেট দিয়েই ভিতরে ঢোকেন। কারণ, তিনি খেয়াল করেন, সেখানে দুজন গার্ড ঘুমোচ্ছেন। এরমধ্যে একজন গার্ড কেবিনে ছিলেন, আরেকজন দরজার কাছেই ঘুমাচ্ছিলেন। একে সেখানে CCTV ছিল না, অন্যদিকে দুই নিরাপত্তারক্ষী ঠিকমত নজরদারিও করেননি। আর সেকারণেই সেই বাংলাদেশি শরিফুল আবাসনে সহজেই ঢুকে পড়েন।