সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা এতদিনে সকলেরই জানা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের থানে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল হামলাকারীকে। নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ। সোমবার রাতে তাঁকে ফের সইফের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুননির্মাণও করেছে পুলিশ। তবে এরই মাঝে হামলাকারীকে পুলিশি জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সইফের বাড়িতে ঢুকে শরিফুল ইসলাম শেহজাদের মূল টার্গেট ছিল সইফ-করিনার ছোট ছেলে জেহ। পুলিশ সূত্রে খবর বছর-৪এর জেহকে পণবন্দি করে সইফের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা আদায় করাই ছিল বাংলাদেশি শরিফুলের উদ্দেশ্য। কারণ, বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগে বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন ছিল ওই হামলাকারীর।
আরও পড়ুন-রাতদুপুরে ফের একবার হামলাকারীকে নিয়ে সইফ আলি খানের বাড়িতে পুলিশ, ব্যাপার কী?
প্রসঙ্গত, বান্দ্রা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর অনুসারে, সইফ-করিনার বাড়িতে ঢুকে সেখানে কর্মরত ৫৬ বছর বয়সী নার্স এলিয়ামা ফিলিপের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি হন ওই হামলাকারী। এলিয়ামা ফিলিপ পুলিশকে জানিয়েছেন, 'ওই ব্যক্তি ১ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন এবং আমি বাধা দিলে ও আমার উপর লাঠি ও ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করে।' হামলার সময় কব্জি ও হাতে আঘাত লাগে বলে জানা যাচ্ছে। এলিয়ামা ফিলিপ জানিয়েছেন, ওই অনুপ্রবেশকারী জেহ-র বিছানার দিকেই এগোচ্ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি দেখলাম একজন বাথরুম থেকে বের হয়ে জেহ-র ঘরের দিকে যাচ্ছে।’ এই হট্টগোলের ফলে আয়া, জুনু সাহায্যের জন্য চিৎকার জুড়ে দেন। এরই ফাঁকে কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে পালায় জেহ। সেসময়ই সেখানে এসে হাজির হন সইফ। অভিনেতা ওই অনুপ্রবেশকারীকে বাধা দিলে তাঁর ঘাড়, কাঁধ, পিঠ এবং কব্জিতে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়।
এরপরের ঘটনা এখন অনেকেরই জানা। হামলার পর অটো ধরে তৈমুরের হাত ধরে লীলাবতি হাসপাতালে পৌঁছন সইফ আলি খান। সেখানে তাঁর ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়। এই মুহূর্তেও হাসপাতালেই রয়েছেন সইফ। সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ঘটনার পর ধৃতকে আদালতে তোলা হয় তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, হামলাকারীকে থানে থেকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার পর ২ ঘণ্টা সইফের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টের বাগানে লুকিয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। প্রথমে সে নিজেকে কলকাতার নাগরিক বলেছিল, পরে জানা যায় সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা।