সইফ আলি খানের ছেলে জেহ-এর আয়া এলিয়ামা ফিলিপ বৃহস্পতিবার ছুরি হামলায় নিজেও আহত হন। তবে নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়েই খুদে জেহ-কে বাঁচাতে গিয়েছিলেন এই নারী। যার বর্ণন তিনি নিজেই দিয়েছেন পুলিশকে। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে ওই নারী জানিয়েছেন, হামলাকারী ১ কোটি টাকা চেয়েছিল।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী জোর করে অভিনেতার ফ্ল্যাটে ঢোকেনি বা কোনো ভাঙচুর করেনি। সম্ভবত ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাতের কোনও এক সময়ে লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিল। ।
ফিলিপ জানান, তিনি জেহের ঘরে মেঝেতে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন এবং রাত ২টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় একটি শব্দ শুনে। এবং দেখেন একজন লোক ছোট্ট জেহ-র দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর তা দেখে তিনি দৌড়ে যান জেহর দিকে, তাকে বাঁচাতে। কিন্তু সেই সময় হামলাকারী তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
‘আমি বাথরুমে কে আছে, তা দেখার জন্য উঠে বসলাম... আমি দেখলাম একজন রোগা ও বেঁটে লোক বেরিয়ে এসে জেহের বিছানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’, বিবৃতিতে বলেন ফিলিপ। তিনি আরও জানান যে লোকটি তার দিকে আঙুল তোলে এবং তাঁকে সতর্ক করে দেয় মুখ থেকে একফোঁটা আওয়াজ না করতে। লোকটা বলে, ‘কোই আওয়াজ নেহি’।
সেই আয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, এরপর তিনি জানতে চান, কী চায় ওই ব্যক্তি। যাতে জবাবে সে ১ কোটি দাবি করে। ‘ধস্তাধস্তির সময় সে ব্লেড দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমার কব্জিতে চোট লেগেছে।’ ৪ বছর ধরে এই তারকা দম্পতির সঙ্গে কাজ করা ফিলিপ বলেন, 'সে বলেছিল যে সে টাকা চায়, এবং ১ কোটি টাকার দরকার।
তিনি পুলিশকে আরও জানান যে, অনুপ্রবেশকারীর বয়স প্রায় ৪০ বছর। তার চিৎকার শুনে সইফ ও করিনা নিজেদের বেডরুম থেকে ছুটে আসে। আর সইফ স্বভাবতই ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যান। সইফ খালি হাতে ছিলেন, ওই হামলাকারীর হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। অভিনেতা মারাত্মকভাবে জখম হন। বাড়ির লোকেরা জেগে উঠেছে বুঝতে পেরে, পালিয়ে যায় ওই আততায়ী। সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীকে ফায়ার এক্সিট সিঁড়ি দিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে।
সইফ আলি খানের উপর হামলা: তদন্তে ১০ দল
রহস্যজনক এই ঘটনার সমাধানে পুলিশ অন্তত ১০টি দল গঠন করেছে। নিরাপত্তারক্ষী ও গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা।
এদিকে, মারধরের পর সইফকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিনেতা খুব শীঘ্রই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। করিনা আপাতত দুই ছেলেকে নিয়ে রয়েছেন দিদি করিশ্মার বাড়িতে। বিপদের দিনে বলি দম্পতির পাশে গোটা বলিউড।