গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার ১১ তলার ফ্ল্যাটে অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলা চালায় এক আততায়ী। মূলত চুরির উদ্দেশেই সে প্রবেশ করেছে বলে জানা যায়। যদিও জেহ-র ন্যানি পুলিশকে জানিয়েছে যে, ওই আততায়ী ১ কোটি টাকা দাবি করেছিল, করিনা-সইফের ছোট ছেলে জেহ-র ঘরে ঢুকে। এরপর সন্তানকে বাঁচাতে মরণপণ লড়াই করেন এক বাবা। শরীরে ৬টি আঘাত নিয়ে ভর্তি করা হয় সইফকে হাসপাতালে। তারমধ্যে গুরুতর ছিল মেরুদণ্ডের পাশেরটি। প্রায় ৫ ঘণ্টা সইফের অপারেশন চলে বলে খবর।
এরপর ৫ দিন পর সবাইকে অবাক করে, সইফ হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় হেঁটে হেঁটে প্রবেশ করেন বাড়িতে। তাঁর চকচকে মুখ, কেতাদুরস্ত পোশাক, টানটান শরীর দেখে তো মুখ হাঁ হয়ে যায় সকলের। শুধু বাঁ হাতে একটি ব্যান্ডেজ ছিল। এবার ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে ফের বাড়ির বাইরে পা রাখলেন অভিনেতা। অবশ্যই নিরাপত্তার চাদরে নিজেকে মুড়ে নিয়ে। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল করিনা কাপুরকেও।
পাপারাৎজি অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা এবং ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে সইফকে তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ধূসর রঙের সোয়েট শার্ট ও টুপি পরা করিনা সইফের সামনে এগিয়ে গিয়ে গাড়িতে ঢোকেন আগে। জিন্স ও নীল শার্ট পরা সইফকে দেখা গেল নিরাপত্তারক্ষীদের একটি টিম ঘিরে থাকতে। দু'জনে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে পড়ার পর, আরেকটি গাড়িও তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁদের অনুসরণ করে।
আরও পড়ুন: ‘জানি না আদৌ এই সম্মানের যোগ্য কি না…’! পদ্মশ্রী পেয়ে আনন্দে অভিভূত মমতা শঙ্কর
মিডিয়াকে এড়িয়েই যেতে দেখা গেল দুজনকে। এর আগেও করিনা তাঁর বাড়ির বাইরে সবসময় উপস্থিত থাকা পাপারাৎজিদর নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন সইফের উপর হামলা হওয়ার পর। ইনস্টাগ্রামে পাপারাৎজির তোলা ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এটা এবার বন্ধ করুন। একটু তো হৃদয় রাখুন। ঈশ্বরের দোহাই, আমাদের একা থাকতে দিন।’ যদিও পরে তিনি সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন।
লীলাবতী হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার বিকেলে সইফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আসার সময় তার মেরুদণ্ডের তরল লিক হচ্ছিল। পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। অভিনেতার শরীর থেকে হামলাকারীর আঘাতকরা ছুরির একটি টুকরোও বের করা হয়।