দেখতে দেখতে প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। ২০২২ সালে আচমকাই চিরকালের জন্য না ফেরার দেশে চলে যান টলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। রেখে যান স্ত্রী সংযুক্তা এবং মেয়ে সাইনাকে।
তবে অভিষেক চলে গেলেও স্বামীর স্মৃতি আগলে জীবনে বেঁচে থাকার অন্য মানে খুঁজে নিয়েছেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে মেয়ে সাইনাও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে এমনকি সারাদিনের বেশিরভাগ সময় বাবার উপস্থিতি অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: 'খুব শীগ্রই সেটা জানতে পারবে...', রুক্মিণীকে বিয়ে নিয়ে কী বললেন দেব?
আরও পড়ুন: ভেদাভেদ ভুলে জুবিনকে শ্রদ্ধা পাকিস্তানের, গানে গানে স্মরণ সঙ্গীত শিল্পীকে
আত্মা অবিনশ্বর, শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মার মৃত্যু হয় না। মৃত্যুর তিন বছর পরেও তাই হয়তো সাইনা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেন বাবাকে। সম্পতি অ্যাডিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বাবাকে মিস করার সুযোগই পাই না। আমি যখনই একা থাকি তখনই মনে হয় বাবা আমার পাশেই বসে আছে। অনেক সময় ব্যক্তিগত কাজও করতে পারি না। আমরা সব সময় বাবার অনুভুতি বুঝতে পারি।’
মেয়ের কথায় সায় দিয়ে সংযুক্তা বলেন, ‘ওর শরীরটাই শুধু আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, ও সব সময় আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা প্রতি মুহূর্তে ওর উপস্থিতি অনুভব করতে পারি। আমাদের কখনও মনেই হয়নি যে ও আমাদের সঙ্গে।’
এই বছরের দুর্গাপুজোতেও ঠিক একই রকম একটি পোস্ট করতে দেখা দিয়েছিল সাইনাকে। কুমারী পূজোয় বাবা কীভাবে তাঁকে কোলে করে নিয়ে যেতেন মা দুর্গার কাছে, সেই ভিডিয়ো তিনি তুলে ধরেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়া সম্প্রতি একটি পোস্টে অভিনেতার ছবি পোস্ট করে সাইনা জানান, কুমারী পুজোর সময় যদি বেশিক্ষণ সাজতে সময় লাগতো, সেইটুকু সময়ও মেয়েকে চোখে হারাতে চাইতেন না অভিষেক।
আরও পড়ুন: বাথরুমে ছেলেকে নিয়ে এ কী করলেন সুদীপ! ভিডিয়ো দেখে অবাক নেটপাড়া
আরও পড়ুন: নাগপুরে বন্ধুর হাতে খুন অমিতাভ বচ্চনের সহ অভিনেতা, আটক অভিযুক্ত
এটাই হয়তো মেয়ের প্রতি বাবার অপার ভালবাসা। আর ঠিক এই কারণেই হয়তো বাবাকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারেন সাইনা। অভিষেক কন্যার এই প্রতিটি পোস্টে আরও বেশি করে যেন বারবার সবার মনে জীবন্ত হয়ে ওঠেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘কনে দেখা আলো’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সাইনা। মৈনাক, সোমরাজ এবং নন্দিনীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট সাইনাকে। সাইনার অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকরা।