মুম্বাইয়ে ‘হিরো অব হিরোজ’ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই উৎসবে তাঁর প্রয়াত স্বামী দিলীপ কুমারের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সায়রা বানু। শনিবার তিনি মুম্বাইয়ের এই উৎসবে যান। ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন পিভিআর সিনেমাস এবং আইনক্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একত্রে একটি দুদিনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে। সেখানে প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমারের ১০০ বছরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁকে স্মরণ করা হয়। শ্রদ্ধা জানানো হয়। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সায়রা বানু তাঁর স্বামীর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। দিলীপ কুমারের অন্তিম দিনগুলোর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, 'এখনও মনে হয় ওর আমার পাশেই ঘুমায় উল্টো দিকে মুখ করে। ও যখন ভীষণ অসুস্থ ছিল শেষ কিছু বছর ধরে তখন ও অনেকক্ষণ ধরে ঘুমাতো, আর আমি ওর পাশেই থাকতাম। আর ও যখন ঘুম ভেঙে চোখ খুলে তাকাত তখন সেটাই যেন আমার কাছে উৎসবের আনন্দের মতো লাগত। ঈদের আনন্দের মতো মনে হতো।'
তিনি আরও বলেন, 'ও চোখ খুলেই এদিক ওদিক তাকাত, আমায় খুঁজত। ওই গভীর চোখ দুটো দিয়ে আমায় দেখতে পেয়েই সেই ভুবন ভোলানো হাসি হেসে বলত সায়রা এখনও এখানেই বসে আছ?' তিনি আরও বলেন, 'আমি ওকে বলতাম, 'হ্যাঁ, এখানেই বসে আছি যাতে তুমি যখন চোখ খুলবে, নড়াচড়া করবে আমি যেন সেটা দেখতে পাই। যখন তুমি ঘুমিয়ে থাকো গোটা পৃথিবী আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়। আর তুমি ঘুম থেকে উঠলে আবার সবটা ঠিক হয়ে যায়।'
এই চলচ্চিত্র উৎসবে দিলীপ কুমারের বেশ কিছু আইকনিক ছবি দেখানো হয়। এই ছবিগুলোর মধ্যে ছিল ১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আন’, ১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’, ইত্যাদি। এছাড়া ‘রাম অর শ্যাম’, ‘শক্তি’, ইত্যাদি ছবিগুলোও পিভিআর সিনেমার ভারতের ২০টা শহরের ৩০টা সিনেমা হলে দেখানো হয়। অন্যদিকে এই ছবিগুলো আইনক্সেও দেখানো হবে ২৫-৩০টা জায়গায়।
মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতার, ওয়াহিদা রেহমান, শাবানা আজমি, সুভাষ ঘাই, আর বাল্কি, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।