নিজের ইমেজ শুধরোতে বিগ বসে এসেছেন সাজিদ খান। গত কয়েক বছর ধরে গ্ল্যামারের দুনিয়া থেকে গায়েব হতে হয়েছিল তাঁকে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই। ভারতের মিটু মুভমেন্টের সময় তাঁর উপরে একাধিক মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল। ফলে রাতারাতি তাঁকে ‘হাউসফুল ৪’ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিগ বসে এসেও একাধিক ঝামেলায় জড়িয়েছেন। বিশেষ করে ঘরের সদস্য অর্চনা গৌতমের সঙ্গে। স্মোকিং রুমে না গিয়ে বাইরে বসে সিগারেট খাওয়ার কারণে একহাত নিয়েছেন বিগ বস। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সবার মন জয় করার স্বভাবের জন্য ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ডস’ বলেছেন খোদ সলমন খানও। এবার সাজিদকে দেখা গেল চোখের জল ফলতে। স্মৃতিচারণ করতে কীভাবে বাবার পরলৌকিক কাজের টাকা দিয়ে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন সলমন খানের বাবা সেলিম খান।
বিগ বসের শেষ এপিসোডেও দেখা গেল ঝামেলা লেগেছে অর্চনা আর সাজিদের। আর তাতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে এই পরিচালক বলে ওঠেন, ‘আমাকে বাইরে বের করো। অনেক হয়েছে। এই মেয়েটা যা করছে আমি আর নিতে পারছি না।’ এরপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সাজিদ বলেন, ‘আপনি এসবই চান? দয়া করে কিছু অ্যাকশন নিন।’ এমনকী সৌন্দর্য শর্মার দিকে তাকিয়েও চিৎকার করেন, তোমাকে এবার স্ট্যান্ড নিতে হবে, তুমি কার দিকে। টিনা শর্মা এসবেরই মাঝে অর্চনার দিকে তাকিয়ে বলে তুমি নিশ্চয়ই সড়ক ছাপ, তোমার পুরো পরিবারই এরকম হবে।
মেডিক্যাল রুমে গিয়ে এরপর সাজিদকে পরীক্ষা করা হয়, মাপা হয় প্রেসার। জানানো হয় তিনি একদম ঠিক আছেন। জলের বোতল দেওয়া হয় ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
বিকেলে যখন এমসি স্ট্যানের সঙ্গে বসে ছিলেন তখন কেঁদে ফেলেন সাজিদ। বলেন, ‘ও আমার বাবাকে টেনে এনেছে। গরীব-বড়লোকের কার্ড খেলছে এখন। ও কী জানে আমার ব্যাপারে? একটা ১৪ বছরের বাচ্চা আত্মীয়দের বাড়ি বাড়়ি ঘুরছে বাবার পরলৌকিক কাজ করার জন্য কিছু টাকা জোগার করতে। কী বাবা অফ হয়ে গেছে, আমদের কি কিছু টাকা দেওয়া যাবে?’
সাজিদ বলেন তাঁর এক আত্মীয় চাকরকে বলেছিল তাঁকে বলে দিতে যে তাঁরা কেউ বাড়ি নেই। জানান, মায়ের দিকের কিছু আত্মীয় সাহায্য করেছিল। সাজিদের কথায়, ‘আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল সলমন খানের বাবা সেলিম আঙ্কেল।’
সাজিদ আরও বলেন, ‘মদ খেয়ে আমার বাবা আমার চোখের সামনেই মারা গিয়েছিল। লিভার ফেটে গিয়েছিল। চোখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে, মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। বাবাকে যেখানে কবর দেই, সেখানে সেলিম আঙ্কেল এসেছিল। আমাকে যে টাকাটা দিয়েছিল তা দিয়ে আমার দু মাসের রেশন আর ইলেকট্রিকের বিল হয়ে গিয়েছিল।’