রবিবারই প্রকাশ্যে এসেছে সলমন খান লকডাউনের এই সময় স্বেচ্ছায় বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ২৫ হাজার কর্মীর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এই খবরটি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানানো হয় ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজের তরফে। চুপিসাড়েই মানুষের সেবা করতে চান সলমন, তাই নিজে এব্যাপারে কোনও কিছুই জানাননি ভাইজান। সোমবার এই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সলমনের বাবা চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। মিড-ডে’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে সেলিম খান জানিয়ছেন আমি নিজেও এব্যাপারে খুব বেশি কিছু জানি না। কিন্তু আমাদের পরিবারের একটা আদর্শ রয়েছে-আমাদের টাকা যেন প্রয়োজনে মানুষের কাজে আসে’। তিনি যোগ করেন, গত পনেরো দিন ধরে আমাদের বিল্ডিংয়ের সমস্ত কর্মচারীদের দেখাশোনার দায়িত্ব, তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ভার আমাদের পরিবার নিয়েছে।
সলমন খানের প্রযোজনা সংস্থা সমলায় তাঁর ভাই আরবাজ খান। তিনিও এই খবরে শিলমোহর দিয়ে জানিয়েছেন, আমরা সকলে কর্মীকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারে যা কিছু প্রয়োজন সে বিষয়টা আমরা দেখছি’।
করোনার জেরে ১৯ মার্চ থেকে তালাবন্ধ বলিউড। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে ইন্ডাস্ট্রির সেই সব জুনিয়র আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান, স্পটবয়রা যারা প্রত্যেক দিনের হিসাবে শ্যুটিং সেটে কাজ করে। সেইসব দিনমজুরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভাইজান।
রবিবার FWICE-এর সভাপতি বি এন তিওয়ারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘সলমন তাঁর এনজিও বিয়িং হিউম্যানের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দেবেন সংস্থার কর্মীদের কাছে। সলমনের বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশন দিনমজুরদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তিনদিন আগেই আমাদের ফোন করা হয়েছিল সলমনের পক্ষ থেকে। আমাদের প্রায় পাঁচ লক্ষ কর্মী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ হাজারের এই মুহূর্তে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। বিয়িং হিউম্যান জানিয়েছে তারা ওই ২৫ হাজার কর্মীর যাবতীয় দায়িত্ব বহন করবে। ইতিমধ্যেই সেই ২৫ হাজার কর্মীর ব্যাঙ্কের তথ্য নিয়েছে বিয়িং হিউম্যান, যেহেতু তারা চায় সরাসরি সেই কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতে’।