তাঁর লেখা কালজয়ী সব বলিউডের ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যের মতো মানুষ হিসেবে তিনি নিজেও দারুণ সাহসী। তিনি অর্থাৎ সেলিম খান। বরাবরই দ্বিধাহীনভাবে নিজের মনের কথা প্রকাশ করেছেন বি-টাউনের এই বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার। বেশ কয়েক বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ার, পরিবার ও বৃদ্ধ বয়সে কীভাবে জীবন কাটাবেন ইত্যাদি সব কথা উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি।
সালটা ২০১৪। ইন্দু মিরানীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেলিম খান সপাটে জানিয়েছিলেন কেরিয়ার তুঙ্গে থাকাকালীন তিনি ভেবে রেখেছিলেন বয়সকালে যখন বেশ কিছু অর্থ সঞ্চিত হয়ে যাবে, ছেলেমেয়েরাও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে তখন নিশ্চিন্তে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াবেন তিনি। ইচ্ছেমত পার্টি করবেন,মদ্যপান করবেন মেজাজে। কিন্তু তাঁর ছেলেমেয়েদের জ্বালায় সেসব আর এই জীবনে হল না তাঁর!
ওই সাক্ষাৎকার চলাকালীন মজার সুরেই সলমন খান এর বাবা বলে ওঠেন, 'একসময় ভেবেছিলাম যখন কাজকর্ম্ম থেকে অবসর নেব আর হাতে বেশ কিছু টাকাও থাকবে তখন বেশ নিজের ইচ্ছেমত আয়েশ করে জীবন কাটাবো। দেশ বিদেশ ঘুরব, আরাম করে ঘুমোবো, আয়েশ করে মদ খাব আর দুর্দান্ত ফুর্তি করব। কিন্তু সে আর হল কই? আমার পাঁচ সন্তান পাঁচগুণ জ্বালায় আমাকে। গাড়ির তেল ফুরোলেও আমার ডাক পড়ে, নিজেরা কোনও বিপদে পড়লেও আমার ডাক পড়ে আবার আদালত থেকে কোনও সমন এলেও আমার কাছে ছুটে আসে! একমুহূর্ত ফাঁকা হয়ে যে বিশ্ব তার উপায় রাখেনি এঁরা। কোথায় তাহলে যাব আমি?'
এখানেই না শেষ করে ওই একই মজার সুরে সেলিম খান জানান যে এসব কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। কারণ সেসব ভাবা ও লেখার জন্য যে সময় ও মনঃসংযোগ প্রয়োজন সেটুকুই তো পাচ্ছেন না তিনি। উল্লেখ্য, দু'বার বিয়ে করেছেন সেলিম খান। তাঁরা সালমা খান ও হেলেন। তাঁদের পাঁচ সান্তনা হলেন সলমন, আরবাজ, সোহেল, আলভিরা এবং অর্পিতা।