কেন বিচ্ছেদ হল সেলিম-জাভেদের? চিত্রনাট্যকাররা একত্রে একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন। তবে কেন তারা আলাদা হয়েছিলেন, সে বিষয় গোপনই রেখেছেব বরাবর। এমনকি নতুন ডকুসিরিজ 'অ্যাংরি ইয়ং মেন'ও এই বিষয়ে খুব একটা তথ্য দেয়নি। এখন এনডিটিভির সঙ্গে একটি নতুন সাক্ষাৎকারে, সেলিম খান জানান যে, যদি কেউ তাদের বিচ্ছেদ থামাতে পারতেন তবে তিনি হলেন অমিতাভ বচ্চন।
যা বললেন সেলিম
কথোপকথনের সময় সেলিম খান বলেন, ‘যখন তিনি (জাভেদ আখতার) আমাকে জানালেন যে, তিনি আলাদাভাবে কাজ করতে চান, আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে, কোনও সমস্যা নেই। আপনি কাউকে থাকার জন্য জোর করতে পারেন না। আমি নিজেও এখনও জানি না, কেন আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। হয়ে গিয়েছে তো হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কার্তিক ছুটলেন লালবাগচা রাজায়, অনন্যার বাড়িতে সাজো সাজো রব, দেখুন বলিউডের গণেশ পুজোর ছবি
'ম্যায় হোতা তো ইয়ে করতা...',
সেলিম আরও বলেন, তিনি যদি অমিতাভ বচ্চনের জায়গায় থাকতেন তবে তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতেন এবং এই বিচ্ছেদ বন্ধ করতেন। সেলিম খান বলেন, ‘তবে আমি যদি অমিতাভ বচ্চনের জায়গায় থাকতাম... আমি জাভেদ আখতারকে উপদেশ দিতাম যে, ছেড়ে যেও না, তোমার সঙ্গে দারুণ একটা পার্টনারশিপ আছে, তুমি ভালো করছো, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, তুমি কেন এটাকে ভাঙতে চাও। আমি ওর জায়গায় থাকলে, এটাই করতাম।’
আরও পড়ুন: 'পাপের ঘড়া উলটোয়, ২০ বছর সময় লাগল, সে লাগুক…',অরিন্দমকে নিয়ে বিস্ফোরক স্বস্তিকা
আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বলিউড মাতিয়ে রেখেছিল সেলিম-জাভেদ জুটি। একসঙ্গে ২২টি বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য লেখেন দুজনে। যার মধ্যে রয়েছে ইয়াদোঁ কি বারাত, ত্রিশূল, কালা পাত্থর, দোস্তানা, সীতা অর গীতা এবং মিস্টার ইন্ডিয়া। পাশাপাশি দুটি কন্নড় চলচ্চিত্র রয়েছে। সেলিম-জাভেদ ১৯৮২ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'বিয়ের পর থেকে পাইনি …' ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাঞ্চনের বিষয়ে কী বললেন শ্রীময়ী?
সম্প্রতি তাঁদের নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘দ্য অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন প্রাইমে। তবে এটিতেও এক হননি তাঁরা, তথ্যচিত্রে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার কোনও যৌথ সাক্ষাৎকার দেননি। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ তথ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজক জোয়া আখতারের টাইগার বেবি, ফারহান আখতারের এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট এবং সালমান খান ফিল্মস।