সেলিম খান ও জাভেদ আখতার, ভারতীয় ফিল্মি ইতিহাসে অন্যতম আইকনিক চিত্রনাট্যকার-জুটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 'শোলে', 'জঞ্জির', 'দিওয়ার', 'ডন'-এর মতো ছবি লিখেছেন এই দুই খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার। যদিও সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তাঁদের নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন FIR লেখক অমিত আরিয়ান। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, সেলিম খান ও জাভেদ আখতার লেখক নন, তাঁরা শুধুই অন্যের থেকে টুকেছেন। এখানে শেষ নয়, অমিত আরিয়ানের দাবি, 'কপিল শর্মার শো ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ'।
ঠিক কী বলেছেন লেখক অমিত আরিয়ান?
ডিজিটাল কমেন্ট্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে FIR লেখক অমিত আরিয়ান বলেন, ‘আমি সেলিম-জাভেদকে লেখক বলেই মনে করি না। এটা একটি বিতর্কিত বক্তব্য হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। হতে পারে গোটা বিশ্ব তাঁদের প্রশংসাক, তবে আমি নই। তাঁরা তাদের পুরো জীবনে শুধুই অন্যের অনুলিপি (টুকেছেন) করেছেন। সেলিম-জাভেদ কপি-রাইটার, লেখক নন। তাহলে এবার আমি বিষয়টার ব্যাখ্যা করি…’
অমিত আরিয়ানের কথায়, 'জাভেদ আখতার ও সেলিম খানের চিত্রনাট্যে তৈরি শোলে, যেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তির সহাত ডাকাতরা কেটে ফেলেছে। তিনি একজন পুরুষের সাহায্যে প্রতিশোধ নিতে চান। ছবিটি ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। তবেএর ঠিক আগে মেরা গাঁও মেরা দেশ নামে একটা ছবি ছিল। যেখানে বিনোদ খান্না ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেন। আর ছবিতে বিনোদ খান্নার নাম ছিল জব্বর সিং। শোলেতে তা হয়ে গেল গব্বর সিং। জয়ন্ত সেখানে একজন আর্মি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেন আর এখানে তিনি একজন পুলিশকর্মী। আগের ছবিতে শুধু একটি হাত কাটা ছিল, শোলেতে দুই হাত কাটা গেছে। সেখানে ধর্মেন্দ্র প্রতিশোধ নিয়েছিলেন, আর এখানে অমিতাভ বচ্চন।' অমিত আরিয়ানের কথায়, দো আঁখেঁ বারাহ হাত এবং সেভেন সামুরাই-মতো শোলে একই প্লট একই ছিল।
অমিত আরও জানান, চিত্রনাট্যকারের আরেক বিখ্যাত ছবি 'দিওয়ার'-এর ক্লাইম্যাক্সের সঙ্গেও দিলীপ কুমারের 'গঙ্গা যমুনা'র ক্লাইম্যাক্স ছিল। অমিতের দাবি, এই দুই তারা শক্তির জন্য তাদের নিজস্ব চলচ্চিত্রটি অনুলিপি করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের 'শক্তি' ছবির চিত্রনাট্যটিও অন্য জায়গা থেকে টুকেছেন। অমিতের কথায়, জাভেদ আখতার আর সেলিম খান আসলে ব্যবসা কীভাবে করতে হয়, সেটা ভালো জানেন।
প্রসঙ্গত, ইয়াদোঁ কি বারাত, ত্রিশূল, কালা পাত্থর, দোস্তানা, সীতা অউর গীতা এবং মিস্টার ইন্ডিয়া সহ ২২টি বলিউড ছবির পাশাপাশি দুটি কন্নড় ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেন। পরে সেলিম-জাভেদ ১৯৮২ সালে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।