হুমকি চিঠি পেলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান এবং তাঁর বাবা সেলিম খান। সেই হুমকি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বান্দ্রা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
সম্প্রতি পঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর থেকেই মুম্বই পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দীর্ঘদিনই পঞ্জাবি গায়কের হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় আছেন সলমন। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
সেইসময় হিন্দুস্তান টাইমসকে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেছিলেন, ‘সলমন খানের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। ওঁনার অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশেও ২৪ ঘণ্টা পুলিশি টহল থাকবে, যাতে রাজস্থানের এই গ্যাং (বিষ্ণোইদের গ্যাং) কিছু করতে না পারে।’
কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সলমন খান?
সেই উত্তরের জন্য পিছিয়ে যেতে হবে দু'দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের উপর যোধপুরে শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে বেশ কয়েকবার সলমন খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে যে জানিয়েছিল, ‘যোধপুরে সলমন খানকে আমরা হত্যা করব।’