NCP নেতা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সলমন খান। শোনা যাচ্ছে, সলমন ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই নাকি লরেন্স বিষ্ণোই-এর দলের হাতে খুন হতে হয়েছে বাবা সিদ্দিকিকে। রাতেও নাকি ঠিক মতো ঘুমতে পারছেন না 'ভাইজান'। ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে সলমন খানের নিরাপত্তা। তবে এই আতঙ্কের আবহেই Bigg Boss 18-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন সলমন।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিগ বস ১৮-এর একটি এপিসোডের শুটিংও করে ফেলেছেন সলমন। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই সেটে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। নির্ধারিত কল টাইমের অনেক আগে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেটে পৌঁছে গিয়েছিলেন সুপারস্টার।
তবে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ চিন্তা থাকলেও এই মুহূর্তে সলমনের বিগ বসের শ্যুটিং শিডিউল টানা চলবে বলেই জানা যাচ্ছে। অভিনেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযোজনা ও চ্যানেলের আধিকারিকরা সলমনের সমস্ত গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রাখছেন বলেই খরব। ইতিমধ্যেই সলমনের জন্য বিগ বসের সেটে মোট ৬০জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। সেটের কম্পাউন্ডের ভিতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়ার আগে আধার কার্ড দেখে তবেই যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে নির্দেশ রয়েছে।
এছাড়াও বিগ বস ১৮-এর কলাকুশলীদের শুটিং শেষ না হওয়া সেট ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-একা নয় দোকা! পুজো কার্নিভালে হুইলচেয়ারে কাকে ঠেলে নিয়ে হাঁটলেন? পরিচয় দিলেন কুণাল ঘোষ
আরও পড়ুন-ভাইপো বাড়ি যেতে পারেনি, বাঁকুড়া থেকে অভিনেতার প্রিয় ‘রচনা’কে পাঠালেন ভাস্বরের কাকা
সলমন খানকে হুমকি
সম্প্রতি সলমন খানে প্রাণে মারার নতুন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের একটা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটা হুমকি মেসেজ আসে। যেখানে সলমনের থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। সেই মেসেজে নাকি লেখা ছিল, ‘বিষয়টা হালকাভাবে নেবেন না, যদি সলমন খান বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান তাহলে তাঁকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে সলমন খানের অবস্থা।’ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
এদিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হরনাথ সিং যাদব সলমনকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ২০ বছর আগে ঘটে যাওয়া কৃষ্ণসার হরিণের ঘটনা নিয়ে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছিলেন সলমন। তাঁর উচিত এই কারণে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।