সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নতুন মামলা দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ। গুলি চালনার ঘটনায় রাজস্থান থেকে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতের নাম বনওয়ারিলাল লতুরলাল গুর্জর। যিনি কিনা রাজস্থানের বুন্দির বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, বনওয়ারিলাল লতুরলাল গুর্জর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটা ভিডিও আপলোড করেছিলেন যেখানে তিনি বলেন, ‘লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরাও আমার সঙ্গে রয়েছে।আমি সালমান খানকে খুন করতে চলেছি। কারণ তিনি এখনও ক্ষমা চাননি’। অভিযুক্ত গুর্জর রাজস্থানের একটা হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে ভিডিওটি তৈরি করেন এবং যেটা তিনি তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করতে ও তদন্তের জন্য রাজস্থানে একটা দল পাঠানো হয়। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ওই আধিকারিক জানান, ‘মুম্বইয়ের একটা সাইবার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবকের পূর্বে কোনও অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল ভোরে বান্দ্রা এলাকায় সলমন খানের বাড়ির সামনে একাধিক রাউন্ড গুলি চালায় দুই মোটরবাইক আরোহী। এখনও পর্যন্ত ওই মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনুজ থাপান নামে এক অভিযুক্ত গত ১ মে পুলিশ লকআপে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্য একটি মামলায় নবি মুম্বই পুলিশ হরিয়ানা থেকে বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের এক সদস্য-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর পানভেলে সলমন খানের ফার্মহাউস, বান্দ্রায় সলমনের বাড়ির আশপাশের এলাকা এবং সিনেমার শুটিংয়ের জন্য অভিনেতা যেসব জায়গায় গিয়েছিলেন, সেসব জায়গায় রেইকি করেছিল অপরাধী চক্রের চার সদস্য।
এদিকে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে অন্য একটি মামলায় গুজরাটের আহমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন। এবার মুম্বই পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে। লরেন্স বিষ্ণোই-এর ভাই আনমোল, বর্তমানে কানাডায় আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকেও গুলি চালানোর মামলায় ওয়ান্টেড অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে।