বলিউড অভিনেতা সলমন খান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একটি নতুন হুমকি বার্তা পেয়েছেন। যেখানে বলা হয়, খারাপ পরিণতি হবে সলমনের ঘনিষ্ঠ এক গীতিকারের। কারণ সেই গীতিকার নাকি এমন একটি গান লিখেছেন, যা অভিনেতার সঙ্গে লরেন্সের নাম জোড়ে। এই জন্য সেই গীতিকারকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মুম্বই পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে ওরলি পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং হুমকির উৎস খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে।
ওই বার্তায় গীতিকারকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, 'গীতিকারের অবস্থা এমন হবে যে তিনি আর গান লিখতে পারবেন না। সলমন খানের যদি সাহস থাকে, তাহলে ওঁদের বাঁচানো উচিত।'
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অভিনেতাকে উদ্দেশ্য করে এটি পঞ্চম হুমকি বার্তা ছিল। অভিনেতাকে ঘিরে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিশ্থিতি, যার ফলে তাঁকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বার্তাটির পিছনের উৎস এবং উদ্দেশ্য তদন্ত করছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে সলমন খানের বিরুদ্ধে হুমকি মেসেজ পেয়েছিল মুম্বই পুলিশ। হুমকি বার্তায় অভিনেতাকে বেঁচে থাকার জন্য ক্ষমা চাওয়া বা ৫ কোটি টাকা দেওয়ার দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল।
মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের কাছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে হুমকি বার্তা আসে, যাতে লেখা ছিল, ‘সলমন খান যদি বাঁচতে চান, তাঁর উচিত আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া অথবা ৫ কোটি টাকা দেওয়া। যদি সে তা না করে তবে আমরা তাকে হত্যা করব, আমাদের গ্যাং এখনও সক্রিয়’, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাইয়ের নাম করে সেই বার্তা পাঠানো হয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে এটি সালমান খানের দ্বিতীয় মৃত্যুর হুমকি। এর আগে মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার সময় অভিনেতার কাছ থেকে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই সলমনকে হুমকি দেওয়ার জন্য একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি থামার নামই নিচ্ছে না। এদিকে, এরই মাঝে দুটি প্রোজেক্টে কাজ করছেন অভিনেতা। একটি হল বিগ বস আর অন্যটি তাঁর পরের সিনেমা সিকন্দর। এদিকে, শুধু সলমন খান নয়, হুমকি পেয়েছেন বৃহস্পতিবার শাহরুখ খানও। কদিন আগে বিনোদন জগতের ঘনিষ্ঠ, মুম্বইয়ের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। প্রতিবার জড়িয়ে যাচ্ছে একটাই নাম, আর সেটা হল নরেন্স বিষ্ণোই। যে নিজে দীর্ঘকাল জেলবন্দি। কিন্তু দাবি, সেখানে বসেই অন্ধকার জগতে নিজের কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন।