বড়পর্দায় সলমন খানের ধুন্ধুমার অ্যাকশন দৃশ্য দেখতে পছন্দ করেন না এমন দর্শকের সংখ্যা যে হাতে গোনা তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সে হ্যান্ড টু হ্যান্ড কম্ব্যাট সিকোয়েন্স হোক কিংবা 'বন্দুকবাজি' সবেতেই তুখোড় 'ভাইজান'. এর সঙ্গে যোগ হয় তাঁর অঅনুকরণীয় স্টাইল। সবমিলিয়ে মধ্যে পঞ্চাশ পেরোনো এই তারকার পর্দায় মারমুখী অবতার দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন তাঁর অনুরাগীরা। 'রাধে' ছবিতেও তার অন্যথা হয়নি। এ ছবির রেটিং পার্টির দিকে থাকলেও ছবিতে সলমনের দুর্ধর্ষ সব অ্যাকশন সিকোয়েন্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক থেকে ছবি সমালোচকের দল। আর বুদ্ধিমান দর্শক মাত্রেই জানেন যে পর্দায় যে হাড় হিম করা অ্যাকশন দৃশ্যে দেখতে কয়েক মিনিট লাগে,আদতে সেই সিকোয়েন্সের শ্যুটিং সারার ঝক্কি বিরাট। ঠিকঠাক শ্যুট করতেই লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। তা জানেন কি কতক্ষণ ধরে প্রস্তুতি নিতেন সলমন 'রাধে'-র অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের আগে? ফাঁস করলেন ছবির অন্যতম অভিনেতা গৌতম গুলাটি। রণদীপ হুডার পাশাপাশি এ ছবিতে গৌতমকেও খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে।
হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গৌতম জানিয়েছেন,' সলমন অত্যন্ত দ্রুত বুঝে নেন যে পরিচালক তাঁর থেকে ঠিক কী ধরনের 'অ্যাকশন' চাইছেন। তেমন করে বিশেষ ট্রেনিংও করেন না এইসব সিকোয়েন্সের শ্যুটের আগে।সাধারণত এইসব দৃশ্যে শ্যুট করতে কয়েক ঘন্টা লেগে যায়। অভিনেতাদেরও এইসব অ্যাকশন দৃশ্যে নিখুঁত অভিনয়ের প্রস্তুতি সারতে লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। সেখানে মাত্র এক-দুবার পরিচালকের নির্দেশ শুনে এবং অ্যাকশন দৃশ্যের কোরিওগ্রাফি দেখে ১৫২০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যান সলমন!' এখানেই না থেমে গৌতম আরও বলেন, ' রীতিমতো অবিশ্বাস্য সলমনের এই প্রস্তুতিপর্ব। আমি ওঁকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম কি করে এত দ্রুত নিজেকে তৈরি করতে পারেন উনি। সলমনের জবাব ছিল, গত ৩০-৩৫ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। একই কাজ করে আসছি। তাই অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন তাই আর অত বিশেষ ট্রেনিংয়ের দরকার পড়ে না আমার!' নিজের বক্তব্যের শেষে জানান 'রাধে' ছবির অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের নির্দেশনা যেতে কোরিয়া থেকে একটি দল মুম্বই এসেছিল। দিন দশেক ধরে চলেছিল ট্রেনিং। তাতে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম,রণদীপরাও। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল সলমন। স্রেফ শ্যুটিং হওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে একবার এই দৃশ্যের রিহার্সাল দিয়ে ঝালিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে থ হয়ে গেছিল সেই কোরিয়ান স্টান্টম্যানদের দলও!