সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে সলমন খানের গভীর বন্ধুত্বের কথা কারুর অজানা নয়। ‘কিক’ পরিচালকের সঙ্গে কয়েক দশক পুরোনো সম্পর্ক সলমনের। তবে ‘হর দিল জো প্যায়ার করেগা’ (২০০০)-র শ্যুটিং ডেট নিয়ে প্রচণ্ড ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন এই অভিনেতা-প্রযোজক জুটি। দ্য কপিল শর্মা শো-'তে এসে সম্প্রতি সাজিদ ফাঁস করেছেন দু-দশক পুরোনো সেই ঝগড়ার গল্প।
সলমন সেই সময় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শাহরুখের এই ছবিতে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্সে দেখা মিলেছিল সলমনের। অভিনেতা জানিয়েছিলেন সাজিদের পরবর্তী ছবির শ্যুটিং ৫ মাস পর শুরু করবেন তিনি। কিন্তু সাজিদ চাইছিলেন ২০ দিনের ভিতর কাজ শুরু করতে। সেই নিয়ে শুরু ঝামেলা। পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে সলমন নিজের ডায়রি ছুঁড়ে মারেন সাজিদকে!
সাজিদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি অন্য কাউকে এই ছবির জন্য কাস্ট করেছিলাম, ২০ দিন পর শ্যুটিং ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে হিরো বেঁকে বসে। সলমন কুছ কুছ হোতা হ্যায় শ্যুট করছিল। আমি পৌঁছে গেলাম আর বললাম ছবিটা আটকে গেছে ইন্ডাস্ট্রিতে এটা জানাজান হওয়ার আগে আমি শ্যুটিং শুরু করব। ও বলল ঠিক আছে, পাঁচ মাস পর ডেট নিয়ে নাও। আমি বলেছিলাম, আমি আরও জলদি শুরু করব’।
২০ দিন পর শ্যুটিং শুরুর কথা শুনে মেজাজ হারান সলমন। সেই সময় চারটি ছবির কাজ হাতে ছিল তাঁর। সেই নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় দুজনের। এরপর বন্ধুকে এটা বোঝাতে যে সত্যি তাঁর কোনও ডেট ফাঁকা নেই, নিজের শেডিউল লেখা ডায়রি ছুঁড়েই সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাকে মারেন সলমন। মজার ব্যাপার হল, সেই ডায়রি নিয়ে সলমনের বেশ কিছু প্রোজেক্টের তারিখ হেরফের করে দেন সাজিদ। এবং সলমনের সহকারী যখন ডায়রি ফিরত নিতে তিনদিন পর আসে, তখন সাজিদ নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে ফেলেছেন। ২০ দিনের ভিতরেই নিজের ছবির শ্যুটিং শুরু করতে পেরেছিলেন তিনি।
হর দিল যো প্যায়ার করগো ছবির পরিচালকের আসনে ছিলেন রাজ কানওয়ার। এই ছবিতে সলমনের নায়িকা ছিলেন প্রীতি জিন্টা ও রানি মুখোপাধ্যায়। মালায়ালাম ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র রিমেক এই ফিল্ম।