করোনার জেরে তালাবন্ধ বলিউড। স্বাভাবিকভাবেই এই সংকটের মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুররা। অর্থাত্ সেই সব জুনিয়র আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান, স্পটবয়রা যারা প্রত্যেক দিনের হিসাবে শ্যুটিং সেটে কাজ করে। বলিউডের ২৫ হাজার কর্মীর অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই সরাসরি আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন সলমন। এই খবর নিশ্চিত করেছিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজ অ্যাশোসিয়েশন। এতেও ক্ষান্ত নন ভাইজান। এবার সলমন খানের বন্ধু তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবা সিদ্দিকি জানালেন এই মহামারীর সময়ে ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরের নিত্য প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছেদিচ্ছেন সলমন খান। টুইট বার্তায় রেশন সামগ্রী ভর্তি সেইসব ট্রাকের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'ধন্যবাদ সলমন এবং বিয়িং হিউম্যানকে-ডেলি ওয়েজ ওয়ার্কারদের প্রতি এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সলমন, তুমি সবসময়ই এক পা এগিয়ে থাকো সবার থেকে, অন্যকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে, আবারও সেটা প্রমাণ করলে'।
এরপর টুইটারে সলমনের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভক্তরা। তাঁদের কথায় সলমন খান শুধু পর্দার নন বাস্তবজীবনেরও ‘হিরো’।
করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে ঠিক কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন সলমন সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুই জানাননি ভাইজান। ‘যাঁরা সত্যিই দান করে তাঁরা কখনওই শো-অফ করে না’, টুইটারে মন্তব্য সলমন ভক্তদের।
গত মাসেই FWICE-এর সভাপতি বি এন তিওয়ারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, ‘সলমন তাঁর এনজিও বিয়িং হিউম্যানের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দেবেন সংস্থার কর্মীদের কাছে। সলমনের বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশন দিনমজুরদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তিনদিন আগেই আমাদের ফোন করা হয়েছিল সলমনের পক্ষ থেকে। আমাদের প্রায় পাঁচ লক্ষ কর্মী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ হাজারের এই মুহূর্তে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। বিয়িং হিউম্যান জানিয়েছে তারা ওই ২৫ হাজার কর্মীর যাবতীয় দায়িত্ব বহন করবে। ইতিমধ্যেই সেই ২৫ হাজার কর্মীর ব্যাঙ্কের তথ্য নিয়েছে বিয়িং হিউম্যান, যেহেতু তারা চায় সরাসরি সেই কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতে’।
আপতত পনভেলের ফার্সহাউসে ভাইপো (সোহেল খান পুত্র) নির্ভানের সঙ্গে কাটছে সলমনের দিন। পরিবারের অনান্য সদস্যরা রয়েছেন মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে।