সময়টা এক্কেবারে ভালো যাচ্ছে না সলমন খানের। একের পর এক সমস্যার গেরোয় পড়তে হচ্ছে ভাইজানকে। একাধিকবার মিলেছে খুনের হমকি। সুপারস্টারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মহারাষ্ট্র সরকার। চলতি বছরের এপ্রিলে সলমনের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। অতি সম্প্রতি সলমন ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন হন। সেই ঘটনার পর থেকেও বারবার গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর দলবলের থেকে একাধিকবার মিলেছে খুনের হুমকি।
সেতো নাহয় হল এবার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'য়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননার দায়ও পরোক্ষভাবে গিয়ে পড়েছে ‘ভাইজান’-এর ঘাড়ে। সম্প্রতি বঙ্গবাসী ফাউন্ডেশনের তরফে দাবি করা হয়, এই শোয়ের সঙ্গে সলমনের প্রযোজনা সংস্থা জড়িত। আর সেকারণে আইনি নোটিসও পৌঁছে যায় অভিনেতার কাছে। এই অভিযোগের পর এবার বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সলমন খান।
১৩ নভেম্বর, বুধবার টিম সলমনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘নেটফ্লিক্সে সম্প্রচারিত দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোয়ের সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই যুক্ত নই। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, এই শোয়ের সঙ্গে সলমন খান/SKTV জড়িত, তাই তাঁরাও আইনি নোটিস পেয়েছে। যদিও এই খবর এক্কেবারেই ঠিক নয়। আমরা এই শোয়ের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই।’
সম্প্রতি 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এ কৌতুক করার সময় রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘একলা চলো রে’ গানটি নিয়ে অশালীন ঠাট্টা করা হয়। যে কৌতুকে হেসে গড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তনুজা কন্যা খ্যাতনামা অভিনেত্রী কাজল-কেও। সেই পর্বটি দেখে বেজায় বিরক্ত হন কবি শ্রীজত বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে এধরনের ঠাট্টা করার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান শ্রীজাত। প্রয়োজনে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। শ্রীজাতকে সমর্থন করেছিলেন পরিচালক-সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত সহ আরও অনেকেই।
পরে ক্রুষ্ণা অভিষেক অবশ্য নিজের ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। আর এবার সেই কপিলের শোয়ের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল সলমন ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থার। যদিও এবিষয়ে আনন্দবাজারকে শ্রীজাত সাফ জানিয়েছেন, তিনি বা তাঁদের কেউই এটা নিয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ করেননি।
প্রসঙ্গত, জানা যায়, নেটফ্লিক্স নয়, এর আগে নামী এক চ্যানেলে সম্প্রচারিত কপিলের শোয়ের ২য় ও ৩য় পর্বের সহ প্রযোজনা করেছিল সলমন খান টেলিভিশন। তবে নেটফ্লিক্সের শোয়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। OTT প্ল্যার্টফর্ম নেটফ্লিক্সের তরফেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই শোয়ের উদ্দেশ্য বিনোদন দেওয়া। কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য় করে প্যারোডি করা এর উদ্দেশ্য নয়।