দুদিন আগেই অভিনেত্রী,পরিচালক পূজা ভাট সামনে এনেছিলেন অভিনেতা ফারাজ খানের গুরুতর অসুস্থতার খবর। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ফারাজ। আপতত মস্তিষ্কে সংক্রমণ বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকে ফরেব, মেহেন্দির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারাজ। দর্শকদের কাছে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত রানি মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে মেহেন্দি ছবিতে অভিনয়ের জন্যই।
ফারাজের চিকিত্সার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ, সেই কারণেই অনলাইনে গুরুতর অসুস্থ এই অভিনেতার জন্য একটি ফান্ডরাইজার তৈরি করেন। যেটির লিঙ্ক শেয়ার করে পূজা ভাট সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। বৃহস্পতিবারই অভিনেত্রী ক্যাশমিরা শাহ জানান ফারাজ খানের চিকিত্সার সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সলমন খান। এবার গোটা বিষয় নিয়ে ভাইজানকে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতার ছোট ভাই ফাহমান খান। মুম্বই মিররকে তিনি বলেছেন- ‘আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব সলমন খানের কাছে। আল্লাহ ওঁনার মঙ্গল করুক এবং ওঁনাকে দীর্ঘায়ু করুক’। জানা গিয়েছে ফারাজ খানের হাসপাতালের বিল হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দিয়েছেন সলমন খান। এবং তাঁর বিইং হিউম্যান ফাউন্ডেশের তরফে আগামিদিনেও অভিনেতার চিকিত্সব ব্যায়ভার তিনিই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে চিরপরিচিত ভঙ্গিতে নিজে কিছুই জানাননি সলমন।
ক্যাশমিরা শাহ বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে লেখেন- ‘আপনি সত্যি এখন মহান মানুষ। ধন্যবাদ ফারাজ খানের দেখভাল করবার জন্য, তাঁর মেডিক্যাল বিল মেটানোর জন্য। ফরেব অভিনেতা ফারাজ খান অতি সঙ্কটজন অবস্থায় রয়েছে এবং সলমন ওঁনার পাশে দাঁড়িয়েছেন- ঠিক যেমনভাবে উনি বহু মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমি ছিলাম, আছি এবং আজীবন থাকব ওঁনার একজন প্রকৃত অনুরাগী। যদি আপনাদের কারুর এই পোস্টটি পছন্দ না হয় তাহলে এক্ষুনি আমাকে আনফলো করুন। আমি এটাই চিন্তা করি এবং অনুভব করি। আমার মনে হয় উনি (সলমন খান) এই গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে মহান মানুষ’।
পরিবারের তরফে জানানো হয়ছে গত এক বছর ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন এরপর তাঁর বুকে সংক্রমণ দেখা যায়। তবে সম্প্রতি সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিত্সকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয় কিন্তু তাঁর আগেই অভিনেতার মধ্যে খিঁচুনি ভাব লক্ষ্য করা যায়। পরে জানা যায় হার্পিস ইনফেকশনের কারণে এই পরিস্থিতি তাঁর, অভিনেতার মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আপতত আইসিইউতে রয়েছেন ফারাজ, তাঁর অবস্থা এখনও অতিসংকটজনক।