লকডাউনের শুরু থেকেই পানভেলের ফার্ম হাউসে রয়েছেন সলমন খান। আর করোনা সংকটে খামার বাড়িতে, খেতেই মন আটকে রয়েছে ভাইজানের। রবিবার গভীর রাতে সলমন সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আনলেন একটি ভিডিয়ো,যেখানে ট্রাক্টর চালাতে দেখা গেল সলমন খানকে। জমি চাষ করতে অন্যদের সাহায্য করছেন দাবাং খান। কখনও ট্রাক্টরের চালকের আসনে তো কখন আবার পিছনে-সলমনকে পাওয়া গেল একাধিক ভূমিকায়। এই ভিডিয়োর ক্যাপশন হিসাবে সলমন লিখলেন-'ফার্মিং'।
চারিদেক সবুজে মোড়া সলমনের এই খেত। দূরে আকাশে জমাট বাঁধা মেঘ-এর মাঝেই মন দিয়ে চাষবাসের কাজে ব্রতী হয়েছেন সলমন খান। লকডাউনে এটাই বোধহয় সলমনের নতুন প্যাশন। কিছুদিন আগেও সলমন ইনস্টাগ্রামে খেতের মাঝে কাদায় মাখামাখি অবস্থায় বসে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'সকল কৃষকদের প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা'। সেই ছবির জন্য ট্রোলও হতে হয়েছিল সলমন খানকে। অনেকের মতে ওটা নাকি ফটোশ্যুট মাত্র, পুরোটাই সলমন খানের দেখনদারি। ট্রোলারদের জবাব দিতেই কী এবার খেতে কাজ করার ভিডিয়ো নিয়ে হাজির ভাইজান?
করোনা সংকটে পানভেল গ্রামের মানুষদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাইজান। মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার এই গ্রামেই রয়েছে সলমনের ফার্ম হাউজ। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী।দিন কয়েক আগে মাঠে ফসল কাটার একটি ছবি শেয়ার করে সলমন লিখেছিলেন, ‘দানে দানে পে লিখখা হ্যায় খানেওয়ালে কা নাম…জয় জওয়ান,জয় কিষাণ’।
বক্স অফিসে সলমনের পরবর্তী ছবি হতে চলেছে রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই।ভাইজানের এই ছবি শ্যুটিংয়ের আর মাত্র ১০-১২ দিনের কাজ বাকি আছে। যে কাজ শেষ করতে শীঘ্রই মুম্বই ফিরবেন সলমন। এই অংশের শ্যুটিং প্রথমে বিদেশে হওয়ার কথা থাকলেও এখন স্টুডিওতেই কাজ সারা হবে। এরজন্য একটা গোটা স্টুডিও বুকও করে ফেলেছেন ভাইজান। পরিচালক প্রভু দেবার এই ছবিতে ফের একবার দিশা পাটনির সঙ্গে দেখা যাবে সলমন খানকে।