তখন একপ্রকার মৃত্যু মুখোমুখি, জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন সলমন খান।সম্প্রতি সুপারস্টার হাজির হয়েছিলেন ভাইপো আরহান খানের ইউটিউব শো 'ডাম্ব বিরিয়ানি'তে। সেখানেই জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিজের মুখেই জানান ভাইজান।
ঠিক কী বলেছেন সলমন?
সুপারস্টার জানান, তিনি, সোনাক্ষী সিনহা ও ভাই সোহেল খান বিদেশে আয়োজিত একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ের পর দেশে ফিরছিলেন। আর তখনই তাঁর 'ফ্লাইট টার্বুলেন্স'(বাতাসের অনিয়মিত চলাচল যা বিমানকে কাঁপতে বা ধাক্কা দিতে পারে)-এর মুখোমুখি হন। (বাতাসের অনিয়মিত চলাচল যা বিমানকে কাঁপতে বা ধাক্কা দিতে পারে)। বিমান কাঁপতে থাকে। কিন্তু তারপর?
সলমনের কথায়, ‘আমরা আইফা শ্রীলঙ্কা অ্যাওয়ার্ড শেষে ফিরে আসছিলাম। বিমানে তখন সবাই হাসছিল, সব ঠিকঠাকই ছিল। হঠাৎই বিমানে গোলযোগ দেখা দিল। প্রথমে, এটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছিল, তবে তারপরই জোরে জোরে শব্দ হতে থাকে। বিমানে সকলেই তখন এক্কেবারে চুপ। সোহেল ও আমি একই ফ্লাইটে ছিলাম। যখন আমি ওর দিকে দিকে তাকালাম, দেখলাম ও দিব্যি ঘুমোচ্ছে। এদিকে এই গোলযোগ ৪৫ মিনিট ধরে দিব্যি চলল।’
সলমন স্বীকার করে নেন যে তিনিও বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি বিমানসেবিকার দিকে তাকালাম, দেখলাম উনি প্রার্থনা করছেন। তখনই ভাবলেন আরে বাপ রে! এমনকি পাইলটরাও বেশ উত্তেজিত, ওঁরা সাধারণত খুব ঠান্ডাই থাকে। তারপর, অক্সিজেন মাস্ক খুলে গেল, আর আমি ভাবছিলাম, আমি শুধু সিনেমাতেই এমনটা দেখেছি! ৪৫ মিনিট পর, সবকিছু ঠিক হয়ে গেল। তখন সবাই স্বাভাবিক হয়ে হাসতে লাগলেন। সোনাক্ষী এবং ওঁর মাও সেখানে ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই ফের একই কাণ্ড শুরু হয়ে গেল, চলল ১০ মিনিট। সঙ্গে সঙ্গে সকলে হাসি থামিয়ে দিলেন। তারপর থেকে আমরা অবতরণ না করা পর্যন্ত, কেউ একটা কথাও বলি নি। কিন্তু যে মুহূর্তে আমরা নামলাম, সকলের হাঁটাচলা বদলে গেল।’ হ্যাঁ, সেই যাত্রায় একপ্রকার মৃৃৃত্যুর মুখ থেকেই বেঁচে ফিরেছিলেন সলমন-সোহেল-সোনাক্ষীরা।
এদিকে কাজের ক্ষেত্রে সলমন খান এই মুহূর্তে আসন্ন অ্যাকশন ড্রামা, ‘সিকান্দর’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। এআর মুরুগাদোস পরিচালিত ছবিটিতে সলমন ছাড়াও রয়েছেন রশ্মিকা মান্দান্না, কাজল আগরওয়াল, সত্যরাজ, শারমন যোশী, প্রতীক বাব্বর সহ বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।