বলিউডে তাঁর পরিচয় সলমন খানের বান্ধবী হিসাবে। তবে সলমনের ছত্রছায়া থেকে বেরোতে চান ইউলিয়া। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন সিঙ্গলস ‘মেয় চলা’। সেই গানের মিউজিক ভিডিয়োর নায়কও সেই সলমন খান! তবে এই গানের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনও দ্বিমত হবে না। গুরু রানধাওয়ার সঙ্গে এই মিউজিক্যাল যুগলবন্দি নিয়ে খুব উত্তেজিত রোমানিয় সুন্দরী। তাঁর কথায়, ‘আমি তো গুরুর ফ্যান। দারুণ একজন শিল্পী। ওঁনার মিউজিক আমার পছন্দ, একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও খুব দুর্দান্ত’। ইউলিয়া জানান মিউজিক কম্পোজার সাব্বির আহমেদের সূত্র ধরেই এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ‘স্টুডিওতে ঢুকে যখন গানটা শুনলাম মন ভরে গেল, গানটা রেকর্ড করবার পরেও একই প্রতিক্রিয়া ছিল। গুরুরও খুব পছন্দ হয়েছিল’, যোগ করলেন গায়িকা। প্রথমে অন্তিম ছবির অংশ হিসাবে এই গানটি থাকবার কথা হয়েছিল, তবে সলমন ও প্রজ্ঞা জয়াসওয়ালকে নিয়ে আলাদা একটি মিউজিক ভিডিয়ো তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগেও সলমনের সঙ্গে কাজ করেছেন ইউলিয়া। রাধে ছবির ‘সিটি মার’ বা রেস থ্রি ছবির ‘সেলফিস’ গান গেয়েছেন ইউলিয়া। বিশেষ কারুর কথা মাথায় রেখে ইউলিয়ার এই গান? মুচকি হেসে রোমানিয় সুন্দরী বলেন, ‘আমাকে মানূুষজন অনেক প্রশংসা করেছেন, আমি নিজে সত্যিই জানি না। হয়ত প্রত্যেকে নিজেরদের ভাবনার সঙ্গে এই গানের সুর-কথাগুলোকে মিলিয়ে ফেলতে পেরেছেন… এইটুকুই বলব আমার গানটা দারুণ পছন্দের, আমার জীবনের একটা অংশ’।
এই গানের মিউজিক ভিডিয়োতে একফ্রেমে ধরা দেননি সলমন-ইউলিয়া, সেই নিয়ে একটু আক্ষেপ রয়েছে ভক্তদের। তিনি কী বলবেন? ‘জানি না। দেখা যাক এই জার্নিটা কেমন হয়। অবশ্যই, এটা একটা গর্বের এবং আনন্দের বিষয় সলমনের সঙ্গে কাজ করা। উনি দারুণ মানুষ এবং দুর্দান্ত অভিনেতা, অনেক অভিজ্ঞ এই ক্ষেত্রে। যখন উনি সঙ্গে থাকেন তখন তুমি জানবার, শেখবার সুযোগ পাও। তবে আপতত আমি নিজের পরিচিতি গড়তে চাই। আমি সেটার উপর জোর দিচ্ছি। কারণ মানুষের কাছে আমি আজও অচেনা, নিজের পরিচিতি তৈরি করাটা তাই খুব দরকার’।