শনিবার সলমনের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিককে একটি হুমকি ভরা মেল পাঠানো হয়। এরপর রবিবার মুম্বই পুলিশের তরফে অভিনেতার সুরক্ষার জন্য পাহারা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের উপর কেস ফাইল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর সহকারী গোল্ডি ব্রারের নামেও মামলা রুজু করা হয়েছে। এবার ভাইজানের এক বন্ধু প্রকাশ্যে আনলেন সেই মেলে কী লেখা ছিল।
সলমন খানের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক একটি হুমকি ভরা মেল পান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের তরফে। এরপর প্রশান্ত গুঞ্জালকর, সলমনের এক বন্ধু থানায় গিয়ে লরেন্স, তার সহকারী গোল্ডি এবং যিনি মেল পাঠিয়েছেন সেই রোহিত গর্গের নামে কেস করে। প্রশান্ত এরপর জানান ওই হুমকি ভরা মেলে গোল্ডি জানতে চেয়েছেন যে সলমন লরেন্সের ইন্টারভিউটা দেখেছেন কিনা যেখানে তিনি বলেছেন কৃষ্ণসারটিকে হত্যা করার জন্য তিনি হয় ক্ষমা চাইবেন নইলে তাঁকে এর ফল ভুগতে হবে। প্রসঙ্গত লরেন্স এখন তিহার জেলে বন্দি আছেন।
ইটাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত বলেছেন, 'আমি রোজ সলমনের বাড়ি আর অফিস যাচ্ছি। আমি যখন শনিবার অফিসে ছিলেন তখন প্যাটেল ( সলমনের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক) এর ইনবক্সে একটি মেল দেখি। এই হুমকি ভরা মেলে গোল্ডি ভাই বলেন তোর বস সলমনের সঙ্গে কথা আছে। ইন্টারভিউটা ( লরেন্স বিষ্ণোই) দেখেছিস নিশ্চয়? যদি না দেখে থাকে তাহলে যেন দেখে নেয়। ম্যাটার বন্ধ করতে চাইলে কথা বলাস। আর যদি মুখোমুখি বসে কথা বলতে চাস, সেটাও জানাস। এখন সময় থাকতে জানিয়ে দিলাম। এর পর ঝটকা মিলবে সোজাসুজি।'
এবিপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই বলেন, সলমন খান তাঁর গোষ্ঠীকে অপমান করেছেন ওই কৃষ্ণসারটিকে হত্যা করে। প্রসঙ্গগত হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সলমন একটি কৃষ্ণসার হরিণকে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এরপর লরেন্স বিষ্ণোই এবং তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন অভিনেতা এবং তাঁর সহ অভিনেতাদের নামে একটি কেস করেন। এই মামলা এখনও চলছে কোর্টে।
আগামীতে অভিনেতাকে কিসি কা ভাই কিসি কী জান ছবিতে দেখা যাবে। এটি ইদের দিন মুক্তি পেতে চলেছে। তাঁর সঙ্গে এই ছবিতে পূজা হেগড়েকে দেখা যাবে। শেহনাজ গিল এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ সারবেন।