২০১২ সালে বক্স অফিস কাঁপিয়ে মুক্তি পেয়েছিল 'এক থা টাইগার'। দুর্ধর্ষ অ্যাকশনের সঙ্গে জমাটি রোম্যান্স এর ককটেলে নিমিষে দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠেছিল সলমন খান অভিনীত 'টাইগার' চরিত্রটি। ছবিতে 'জোয়া'-র ভূমিকায় হাজির হয়ে সমান জনপ্রিয় হয়েছিল ক্যাটরিনা কইফ-ও। এরপর ২০১৭ সালে এল এই সিরিজের দ্বিতীয় ছবি 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। এবারের বক্স অফিস কালেকশন আরও বিরাট। তেমন ছিল ছবির ব্যাপ্তিও। তখনই আঁচ পাওয়া গেছিল এই অ্যাকশন স্পাই-থ্রিলার সিরিজের আরও ছবি আসতে চলেছে। এবারে পালা সিরিজের তৃতীয় নম্বর ছবির। জোয়া-কে নিয়ে আরও একবার টাইগার হাজির হবে দর্শকদের কাছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই মুম্বইয়ে জোরকদমে শুরু হয়ে গেছিল 'টাইগার ৩'-এর শুটিং। সম্প্রতি, ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সব দৃশ্যের শুট সারার জন্যে সলমন-ক্যাটরিনা সহ পরিচালক মনীশ শর্মা ও তাঁর টিম উড়ে গেছে রাশিয়া। ছবি ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের তরফে পাওয়া খবরে জানা গেছে এইমুহূর্তে রাশিয়ার বিখ্যাত সেন্ট পিটার্সবার্গ-এর রাস্তায় চলছে 'টাইগার ৩' এর শুটিং। আর তা শুরুই হয়েছে হাড় হিম করা 'কার চেজ' দৃশ্যের শুটিং দিয়ে।
বলাই বাহুল্য, শুটিংয়ের পুরো স্পটলাইট ছিল ছবির দুই কেন্দ্রীয় অভিনেতা সলমন ও ক্যাটরিনার ওপরেই। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্কোয়্যারে একাধিকবার চলন্ত গাড়ি থেকে নানান স্টান্ট করতেও নাকি দেখা গেছে 'টাইগার'-কে।সেই সূত্রের তরফে আরও জানা গেছে ভারতের এবং রাশিয়ার দুটো শুটিং ইউনিট টিম কাজ সার্চে কড়া করোনা সতর্কতা বিধি মেনেই। এবং সেদেশের সরকারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন এবং করেছেন নিরাপত্তার ব্যবস্থাও যাতে 'টাইগার'-এর টিম কোনও অসুবিধে ছাড়াই সে দেশে শুটিং শেষ করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সলমন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছেন ছবির প্রযোজক আদিত্য চোপড়া কোনওরকম 'কম্প্রোমাইজ' করতে নারাজ। তাই করোনা আবহেও সামান্যতম খরচ কমানোর তোয়াক্কা করেননি তিনি।তাঁর লক্ষ্য, ছবির বাজেট বাড়ুক তা নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পরিকল্পনামাফিক যেন জাঁকজমকের কোনও খামতি না থাকে ছবি তৈরির ব্যাপারে। এই সূত্রের কথায়, যেভাবে বিরাট করে শুটিংয়ের প্রথম দিন এত আয়োজন করা হয়েছে এই 'কার চেজ' দৃশ্যটুকু তোলার জন্য তার থেকেই স্পষ্ট কতটা বিরাট ব্যাপ্তির হতে চলেছে এই ছবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছবির প্রধান ভিলেন ইমরান হাশমি রাশিয়ায় আসেননি। তিনি ছবির টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন তুর্কি এবং অস্ট্রিয়ায় শুটিংয়ে।