সুপারস্টার সলমন খানের সিকন্দর বক্স অফিসে সেভাবে ভালো ব্যবসা করেনি এবং অনেক সমালোচকই এই ছবিকে ‘দুর্বল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে এই সিনেমা করা নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই সলমনের। তবে সম্প্রতি ভাইজান সমালোচনা করেছেন পরিচালক এআর মুরগাদোসের, যিনি ছবি মুক্তির পর সলমনের সেটে দেরিতে আসা নিয়ে কিছু ‘বিতর্কিত মন্তব্য’ করেছিলেন।
বিগ বস ১৯-এর উইকেন্ড কা বারের সাম্প্রতিক পর্বে, সলমন তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সিকন্দর সম্পর্কে কথা বলেছিলেন এবং সিনেমার সেটে তাঁর দেরিতে আসার যে অভিযোগ তোলেন মুরুগাদোস, সেই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ব্যঙ্গ করেছেন। কমেডিয়ান রবি গুপ্তা শোতে উপস্থিত ছিলেন এবং সলমনকে এমন সিনেমার নাম বলতে বলেছিলেন যেগুলোর জন্য তিনি অনুশোচনা করছেন। তাঁর ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকালে সলমন সূর্যবংশী (১৯৯২) এবং নিশ্চয় (১৯৯২) এর নাম নেন। রবি যখন ভাবছিলেন যে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনও ছবি আছে কি না, তখন সালমান বলেছিলেন, ‘নতুনের মধ্যে কিছু নেই। লোক বলে সিকন্দর। আমার মনে হয় না। ওর প্লট অনেক ভালো।’
এরপরই সলমন তাঁর নিজস্ব ঢঙে ব্যাঙ্গ করে বলে ওঠেন, ‘আসলে আমি রাত ৯টায় সেটে পৌঁছতাম তাই গড়বড় হয়ে গিয়েছে। উনি এখন যে তারকার সঙ্গে ছবি করছেন সে ৬টার মধ্যে পৌঁছে যায়।’ এখানেই না থেমে থেকে সলমন বলেন, ‘প্রথমে তো এই ছবিটা ছিল সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা ও মুরগাদোসের। সাজিদ প্রথমে পালাল। তারপর সুরগাদোস সরে গেল এবং দক্ষিণে গিয়ে ছবি করল।’
প্রসঙ্গত, মুরগাদোস সিকন্দরের পর বানিয়েছেন মাদরাসি, যদিও সেটাও সেভাবে বক্স অফিসে সাফল্য পয়নি। সেই নিয়েও খোঁটা দেন সলমন। বলে ওঠেন, ‘মদরাসি বলে একটা ছবি রিলিজ করেছে, সেটা খুব বড় ছবি, সিকন্দরের চেয়েও…’! এরপর নিজের কথা থামিয়ে হেসে ওঠেন সলমন।
সিকন্দর মুক্তির পর ভালাইপেচু ভয়েসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরুগাদোস ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার কারণ সম্পর্কে কথা বলেন। ‘একজন তারকাকে নিয়ে শুটিং করা সহজ নয়। দিনের দৃশ্যেও, আমাদের রাতে শুটিং করতে হত, কারণ তিনি রাত ৮টায় সেটে আসেন। আমরা ভোর থেকেই শুটিংয়ে অভ্যস্ত, কিন্তু সেখানে (বলিউড) জিনিসপত্র এভাবে চলে না।’
‘যদি একটি দৃশ্যে চারটি বাচ্চা থাকত, তাহলে আমাদের তাদের সঙ্গে রাত ২ টোর সময় শুটিং করতে হত, এমনকী যদি সেটা তাদের স্কুল থেকে ফেরার দৃশ্যও হত! ততক্ষণে তারা ক্লান্ত হয়ে যেত এবং সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ত। গল্পটি আবেগঘন ছিল, কিন্তু আমি এটি ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারিনি।’, আরও বলেন মুরগাদোস। এদিকে, সিকন্দরের বক্স অফিস কালেকশনের কথা বললে, স্যাকনিল্কের মতে, ২০০ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী মাত্র ১৮৫ কোটি টাকা আয় করেছে।