'সলমন খান, সেলিম খান সিধু মুসেওয়ালার মতোই পরিণতি অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য', গত রবিবার সলমন খানকে এমনটাই হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই চিন্তার ভাঁজ মুম্বই পুলিশের কপালে। মেগাস্টারের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে, কোথা থেকে এল ওই বেনামি চিঠি তার খোঁজ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নিশানায় রয়েছেন ভাইজান, সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলাতেও উঠে এসেছে বিষ্ণোই-এর যোগসূত্র। এর জেরেই চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
এই মামলায় সলমন খান এবং তাঁর বাবা সেলিম খানের বয়ানও রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশকে দেওয়া বয়ানে কোনওরকম হুমকি ফোন পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন সলমন খান। অভিনেতা জানান,কারুর সঙ্গে কোনওরকম শক্রতা বা ঝামেলা নেই তাঁর, এমনকী লরেন্স বিষ্ণোই বা গোল্ডি ব্রার-কেও চেনেন না তিনি, জানিয়েছেন ভাইজান।
সোমবার সলমন ও সেলিম খানের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। রবিবার সলমনের অ্যাপার্টমেন্টের কাছে ওই হুমকি চিঠি উদ্ধার করেন অভিনেতার বডিগার্ডরা। সলমনের অ্য়াপার্টমেন্ট গ্যালাক্সির চারপাশে পুলিশি প্রহরা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়াসলে পাতিল গোটা ঘটনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জানতে চেয়ে আগেই সাক্ষাৎ সেরেছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিশ্বাস নানগরে পাতিলের সঙ্গে।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-কে এই মামলায় ইতিমধ্যেই জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ। এই মুহূর্তে তিহার জেরে বন্দি এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। সলমন খানের উদ্দেশে লেখা এই হুমকি চিঠির সঙ্গে তার বা তার গ্যাং-এর কোনও সদস্যের কোনও যোগ নেই, জেরায় জানিয়েছে লরেন্স। মুম্বই পুলিশের একটি দল খুব শীঘ্রই দিল্লি গিয়ে জেরা করতে পারে লরেন্স বিষ্ণোইকে। এর আগে ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে সলমন খানকে প্রাণে মেরে ফেলবার হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই।