করোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাইন। ১৯ মার্চ থেকে তালাবন্ধ বলিউড। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে ইন্ডাস্ট্রির সেই সব জুনিয়র আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান, স্পটবয়রা যারা প্রত্যেক দিনের হিসাবে শ্যুটিং সেটে কাজ করে। সেইসব দিনমজুরদের পাশে দাঁড়ালেন ভাইজান। বলিউডের ২৫ হাজার কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলেনিলেন সুপারস্টার। ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে।
FWICE-এর সভাপতি বি এন তিওয়ারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘সলমন তাঁর এনজিও বিয়িং হিউম্যানের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দেবেন সংস্থার কর্মীদের কাছে। সলমনের বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশন দিনমজুরদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তিনদিন আগেই আমাদের ফোন করা হয়েছিল সলমনের পক্ষ থেকে। আমাদের প্রায় পাঁচ লক্ষ কর্মী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ হাজারের এই মুহূর্তে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। বিয়িং হিউম্যান জানিয়েছে তারা ওই ২৫ হাজার কর্মীর যাবতীয় দায়িত্ব বহন করবে। ইতিমধ্যেই সেই ২৫ হাজার কর্মীর ব্যাঙ্কের তথ্য নিয়েছে বিয়িং হিউম্যান, যেহেতু তারা চায় সরাসরি সেই কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতে’।
প্রসঙ্গত এর আগে ১৮ মার্চ প্রোডিউসার্স গিল্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরদের জন্য একটি রিলিফ ফান্ডের ব্যবস্থা করতে চলেছেন তারা। কারণ প্রত্যেক দিনের হিসাবে বেতনে যারা কাজ করেন, লকডাউনের জেরে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন।
সারা বছরই বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেতন থাকেন সলমন খান। ইন্ডাস্ট্রি এবং তার বাইরেও বহু দুঃস্থ মানুষের সহায়তা করে থাকেন ভাইজান। স্বভাবতই করোনার মতো কঠিন পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রির একদম তলার সারিতে থাকা সহকর্মীদেরও ভুলে গেলেন না সলমন খান। আপতত পানভেল ফার্ম হাউসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন সলমন খান।
ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে ২৫ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন অক্ষয় কুমার। অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত এর আগে ১৮ মার্চ প্রোডিউসার্স গিল্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরদের জন্য একটি রিলিফ ফান্ডের ব্যবস্থা করতে চলেছেন তারা। কারণ প্রত্যেক দিনের হিসাবে বেতনে যারা কাজ করেন, লকডাউনের জেরে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন।