সলমান খান সেই সুপারস্টারদের মধ্যে একজন,যিনি ঘড়ি ধরে ফিল্ম সেটে থাকেন।তাঁর অনেক সহ-অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাও তাঁর শ্যুটিং-এ দেরি হওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ তুলেছেন বহুবার।কিন্তু ব্যতিক্রমও ঘটেছে বইকি।একটি সময় ছিল যখন সলমান একটি ফিল্ম সেটে অপরিসীম ধৈর্য্য দেখিয়েছিলেন।
সল্লু ভাই নাকি চার ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন যাতে তিনি ওপর এক অভিনেতার শট দেখতে পারেন।না যে সে এই কথা বলেন নি, বলেছেন সেই ছবির স্বয়ং পরিচালক।হ্যাঁ পরিচালকফারাহ খান শেয়ার করেন যে ওম শান্তি ওমের'দিওয়াঙ্গি দিওয়াঙ্গি'গানের শ্যুটিং চলাকালীন,সলমান খান শাহরুখ খানের ভ্যানিটিতে চার ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন কারণ তিনি ধর্মেন্দ্রের অভিনয় দেখতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: (বেবি বাম্পকে 'নকল' তকমা নেটপাড়ার, জনসমক্ষে এসে হঠাৎ পেশা বদলানোর কথা বলল হবু মা দীপিকা)
গানটিতে ৩০জন চলচ্চিত্র তারকাকে ক্যামিওতে দেখা গেছে এবং ফারাহ অনেক দিন ধরে গানটির শ্যুটিং-এর পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে তিনি নসিবের 'জন জনি জনার্ধন'-এর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার মতো একটি গান তৈরি করতে পারেন। আইএফটিডিএ অফিসিয়ালের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময়,ফারাহ স্মরণ করেন ২০০৭ এর এই ব্লকবাস্টার ছবির কথা।তিনি বলেন,‘একটি শট আছে যেখানে ধরম জি নাচছেন, এবং সলমান এবং অন্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এটি আমার একেবারেই পরিকল্পিত ছিল না। তাঁরা ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কারণ তারা ধরম জির শট দেখার জন্য শাহরুখের ভ্যানে চার ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন। আর ধরমজি যখন নাচছিলেন,তখনই তারা শটে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ধর্মেন্দ্রের গানের অংশে শাহরুখ খান তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু সলমান খান এবং সইফ আলি খান ঝাঁপিয়ে পড়েন।’ তিনি আরও বলেন যে‘সইফ এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না এবং এই মুহূর্তের বিস্ময় তার মুখে স্পষ্ট ছিল।’
আরও পড়ুন: (‘সন্তানের সঙ্গে নিবিড়ে...’ কেমন ছুটি কাটাচ্ছেন অক্ষয়?)
গানটিতে অতিথি শিল্পী ছিলেন সঞ্জয় দত্ত,রেখা,রানী মুখার্জি,প্রীতি জিনতা,মিঠুন চক্রবর্তী,কাজল,কারিশমা কাপুর সহ আরও অনেকে। একই আড্ডায়,ফারাহ জানান যে, এমনকিগোবিন্দাও গানের শ্যুটিংয়ের অংশ ছিলেন কিন্তু তিনি শট দেওয়ার জন্য ২৪ঘন্টা দেরিতে এসেছিলেন। ফারাহ বলেন যে গোটা ইউনিট গোবিন্দের জন্য অপেক্ষা করার পর জানতে পারে যে তিনি অন্য কোথাও ব্যস্ত। অবশেষে তিনি পরের দিন শট দিতে আসেন।