ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা পেরোলেই ৫৬তম জন্মদিনের কেক কাটবেন সলমন খান। তবে জন্মদিনের আগেই গুরুতর দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন 'ভাইজান'। পানভেল ফার্ম হাউজে সাপে কামড়াল সলমনকে। জানা গিয়েছে, বড়দিনের রাতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বাগানে বসে গল্প করছিলেন তিনি। তখনই নাকি এই ঘটনা ঘটেছে। সাথে সাথে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নবী মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ভাইজানের চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনুরাগীদের। তবে তারকার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। প্রাথমিক চিকিৎসা করার বেশ কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে সাপটি বিষধর ছিল না।
এবার এ প্রসঙ্গে সলমনের বাবা তথা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান জানালেন তাঁদের পানভেলের ফার্মহাউজ থেকে নিরাপদ দূরত্বে জঙ্গলের মধ্যেই ওই সাপটিকে ছেড়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও জানান প্রথম থেকেই তিনি বলে এসেছেন সলমনকে কামড়ানো সাপটি বিষধর ছিল না। সেলিম খানের কথায়, 'আমরা সবাই যে প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় ছিলাম সে ও আর বলার নয়। সাপে কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব সলমনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম আমরা। যাওয়ামাত্রই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, যা ভীষণ জরুরি এইসব ক্ষেত্রে। এরপর যখন চিকিৎসকেরা জানালেন সাপটি বিষধর ছিলেন না, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। ‘ তা এখন কেমন আছেন সলমন? তারকার বাবা জানান, আপাতত সলমন ভালোই আছে।ফিরে এসেছে ফার্মহাউজেই। চিকিৎসকেরা নির্দেশে আপাতত কিছু ওষুধ খেতে হবে ওঁকে।’
প্রসঙ্গত, দেশে থাকলে প্রতি বছরই এই পানভেলের ফার্মহাউজেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন সাড়ম্বরে পালন করেন 'টাইগার'। এছাড়াও সময় পেলেই পানভেলের ফার্ম হাউসে চলে যান সলমন খান। এমনকি, পরপর দু'বার করোনার জন্য চলা লকডাউনেও সেখানেই ছিলেন তিনি। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলেও শহুরে কোলাহল থেকে দূরে এই খামার বাড়িতেই সময় কাটাতে ভালোবাসেন ভাইজান। সেখানে পালিত পশুদের সাথে সময় কাটানো, ক্ষেতে চাষ করার মতো কাজ করে থাকেন তিনি।