বিবাহ, শাহিদ কাপুর এবং অমৃতা রাওয়ের এমন একটি সিনেমা যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি সিনেমা হয়ে রয়েছে। এই সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন শাহিদ। কিন্তু জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই সিনেমায় প্রথমে কাস্ট করার কথা ছিল সলমন খানকে। তাহলে হঠাৎ কেন ভাইজানকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল?
২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিবাহ সিনেমায় অমৃতা রাও এবং শাহিদ কাপুর অভিনয় করেন। ভারতীয় সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় এই সিনেমার হাত ধরে। দুটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রেম দেখানো হলেও তা শালীনতার সীমা লংঘন করেনি বিন্দুমাত্র। সিনেমাটি সেই সময় বক্স অফিসে ব্যবসা করেছিল দুর্দান্ত। কিন্তু শাহিদ নয়, এই সিনেমার জন্য প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছিল ভাইজানকে।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সের গুঞ্জনের মাঝেই অভিষেকের জন্মদিনে কী লিখলেন ঐশ্বর্য? অনুরাগীরা বলছেন…
আরও পড়ুন: ‘ভোট দিতে যান, এটা ছুটির দিন নয়…’, সহনাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বার্তা পঙ্কজের
সলমন খানকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল বিবাহ সিনেমা থেকে জিজ্ঞাসা করায় পরিচালক সুরজ বলেন, কাজের ক্ষেত্রে যদি বলতে চান তাহলে আমি সত্যিই অনেকটাই স্বার্থপর। ম্যানে পেয়ার কিয়া, হাম আপকে হ্যায় কৌন এক একটা সিনেমা বানানোর জন্য আমি ৫ বছর সময় নিয়েছিলাম। চিত্রনাট্য আমি সবসময়ই নিজেই লিখি সেটি পছন্দ হলে তবেই সিনেমা তৈরি করি না হলে নয়।
পরিচালক আরও বলেন, বিবাহ সিনেমার গল্প একটা সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। আমার বাবা আমাকে একটি সংবাদপত্রের কাটিং দিয়েছিলেন, যেখানে লেখা ছিল মিরাটের এক দর্জি একেবারে অর্ধ ঝলসে যাওয়া মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। এই খবরটি আমি গল্পের আকারে তুলে ধরি সিনেমার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘তোমায় দিয়ে হবে না..’, জুনেদ খানের নাচ দেখে ক্ষেপে লাল ফারাহ খান, কেন?
পরিচালকের কথায়, আমি যখন এই সিনেমার জন্য কাস্টিং করার কথা চিন্তাভাবনা করি, তখন এমন একজন মানুষকে দরকার ছিল যার মধ্যে একটা ভোলাপান থাকবে। খুব সহজ সরল দেখতে হবে তাকে। সলমন খানের কথা প্রথমে মাথায় এলেও ভাইজানের মধ্যে সেই ব্যাপারটা ছিল না। তাই শাহিদ এবং অমৃতাকে সিনেমায় কাস্ট করার কথা চিন্তা করি আমি।
প্রসঙ্গত, সুরজ বরজাতিয়া ২০২২ সালে ‘উচাইয়া’ সিনেমায় শেষ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এই সিনেমাটি এমন তিনজন বৃদ্ধের গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যারা শুধুমাত্র মনের জোরে এভারেস্ট জয় করতে পেরেছিলেন। এই সিনেমাটির জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান সুরজ।