সেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা থেকে চলে আসছে সমস্যা। সলমন খানকে সবক শেখাতে তাঁর প্রাণ নেওয়ার বারংবার হুমকি, চেষ্টা করে চলেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এবার পুলিশের তরফে জানানো হল, বাবা সিদ্দিকি মোটেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মূল টার্গেট ছিলেন না। বরং তাঁরা সলমন খানকেই মারতে চেয়েছিলেন।
কী ঘটেছে?
গত ১২ অক্টোবর বাবা সিদ্দিকি খুন হন। কিন্তু সেদিন সলমন খান আসল টার্গেট ছিলেন, এমনটাই সোমবার যে চার্জশিট পুলিশ পেশ করেছে তাতে দাবি করেছে।
জানানো হয়েছে দুষ্কৃতীরা প্রথমে সলমন খানকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু অভিনেতার আশেপাশে থাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তখন তাঁরা বাবা সিদ্দিকির উপর গুলি চালায়। একই সঙ্গে এও দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতার জন্যই বাবা সিদ্দিকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট লিস্টে আসেন। এছাড়া তাঁর সঙ্গে আন্তর্জাতিক টেরোরিস্ট দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগ থাকাও আরও একটি কারণ ছিল তাঁকে গুলি করার জন্য, এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, ২০২৪ সালে যে কেবল বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়েছে সেটাই নয়, বাংলা নববর্ষের দিন সলমন খানের বাড়ি উদ্দেশ্য করে গুলিও চালানো হয়। আর সেখান থেকে এটা স্পষ্ট যে সলমন খানকে বারবার টার্গেট করছে এই দল।
এদিনের এই চার্জশিটে পুলিশের তরফে আরও জানানো হয় গণপতি বিসর্জনের দিনই বাবা সিদ্দিকি বা তাঁর ছেলে জিসানকে হত্যার ছক কষেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। কিন্তু তাহরা বিসর্জনে না যাওয়ায় সেটা করতে পারেননি তাঁরা। ১২ অক্টোবর যখন বাবা সিদ্দিকি ছেলের অফিস থেকে বেরোচ্ছেন তখনই তাঁকে গুলি করা হয়। নির্মল নগর থানার কাছেই এই ঘটনা ঘটে মুম্বইয়ের বান্দ্রায়।
এই চার্জশিটে মোট ২৬ জনের নাম আছে। এর মধ্যে এখনও ৩ জন পলাতক।