'গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে'- এর বাইরে গুলি চলার ঘটনায় পুলিশের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করলেন সলমন খান। ১২ জুন, বুধবার মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে সলমন নিজের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এর আগে ৪ জুন একই ঘটনায় সলমনের ভাই আরবাজ খানও নিজের বয়ান রেকর্ড করেছিলেন। প্রসঙ্গত গত ১৪ এপ্রিল সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চলেছিল।
মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে সলমনের বয়ান রেকর্ড করার কথা উঠে এসেছে সংবাদ সংস্থা ANI-র টুইটে। এর আগে নিজের বিবৃতিতে আরবাজ খান বলেছিলেন, এই গুলি চালনার ঘটনা তাঁর তার পরিবারের কাছে ‘বিরক্তিকর এবং উদ্বেগজনক’। আরবাজ আরও বলেন কেউ কেউ এই গুরুতর ঘটনাকেও প্রচারের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে বলেও গুজব ছড়িয়েছিলেন। এই ধরনের দাবি মিথ্যা এবং এটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরবাজ সাফ জানান, ঘটনার বিষয়ে পরিবারের কোনোও সদস্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। সলমন অবশ্য এদিন নিজের বয়ানে পুলিশকে কী জানিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
ইতিমধ্যেই এই গুলি চালনার ঘটনার সঙ্গে যাঁরা সরাসরি অভিযুক্ত, সেই দুই শ্যুটার ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পালকে গুজরাট থেকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই গুলি চলার ঘটনার পিছনে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোট ৬ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে অনুজ থাপান নামে একজন ১ মে পুলিশ লক-আপে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়।
পুলিশের জনিয়েছে, অভিযুক্তরা পাকাপোক্ত পরিকল্পনা নিয়েই কাজে নেমেছিল। তারা নাকি সলমন খানের পানভেলের ফার্ম হাউজ সহ বান্দ্রার বাড়ি, এমনকি যেখানে যেখানে সলমন এখন শ্যুটিং করছেন সেসব জায়গা রেইকি করে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে আনা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনেতাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারের দলের।
ঘটনার বিষয়ে আরও জানা গিয়েছে যে, সলমনকে হত্যা থেকে অন্যান্য বিষিয়ে তাঁরা নাবালকদের ব্যবহার করবে বলে স্থির করেছিল পরিকল্পকারীরা। ঠিক ছিল সমস্ত কাজ হওয়ার পর তারা কন্যাকুমারীতে মিট করবে সকলে। সেখান থেকে জলপথে শ্রীলঙ্কা চলে যাবে। এক্ষেত্রে আনমোল বিষ্ণোই তাদের সাহায্য করবে বলেই ঠিক ছিল।