এই মুহূর্তে শুধু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি নয়, সারা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। পুষ্পার ‘ও আভান্থা’ গানে নেচে হইচই ফেলে দিয়েছেন সামান্থা। অথচ এই দক্ষিণী সুন্দরীর শরীরেই বাসা বেঁধেছে বিরল রোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামান্থা সম্প্রতি নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। মায়োসাইটিস রোগে আক্রান্ত নায়িকার আপতত চিকিৎসা চলছে মার্কিন মুলুকে। অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন আম জনতা থেকে তারকারা। সামান্থার জন্য টুইটারে খোলা চিঠি লিখলেন চিরঞ্জীবী।
দক্ষিণী সুপারস্টার লেখেন, 'প্রিয় স্যাম, আমাদের ভিতরকার শক্তিগুলোকে আবিষ্কারের সুযোগ দেওয়ার জন্য নানা সময়ে নানান চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসে। তুমি ভিতর থেকে খুবই শক্তিশালী মেয়ে। আমি নিশ্চিত, এই চ্যালেঞ্জকেও তুমি নিশ্চিতভাবে কাটিয়ে উঠবে। খুব শীঘ্রই!’ সবশেষে চিরঞ্জীবীর সংযোজন, ‘তোমার আরও সাহস এবং প্রত্যয় কামনা করছি!’
এই বার্তার জবাবে সামান্থা পালটা লেখেন, ‘ধন্যবাদ স্যার আপনার এই শব্দগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করবে’। চিরঞ্জীবীর পাশাপাশি ডালকুয়ের সলমন, জুনিয়র এনটিআর, শ্রিয়া সরন, হানসিকা মোটওয়ানি-সহ অসংখ্য দক্ষিণী তারকা সামান্থার জন্য দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে অসুস্থ সামান্থার জন্য একটা শব্দও খরচ করেননি তাঁর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্য।
সামান্থা আর নাগা চৈতন্যের ডিভোর্স নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। শোনা গিয়েছিল সামান্থার খোলামেলা পোশাক পরা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল নাগার পরিবার। নিজেদের মধ্যেও বোঝাপড়ার অসুবিধার জন্য দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। নাগা চৈতন্য, নাগার্জুনরা সামান্থার জন্য একটা শব্দও ব্যায় না করলেও আক্কিনেনি পরিবারের তরফে অখিল আক্কেনেনি সামন্থার জন্য ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তা দিয়েছেন। নাগা চৈতন্যের সৎ ভাই অখিল। নাগার্জুন ও অমলা পালের ছেলে অখিল, অন্যদিকে নাগার্জুন ও তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী লক্ষ্মীর ছেলে নাগা চৈতন্য। অখিল প্রাক্তন বৌদির উদ্দেশে লেখেন, ‘তোমাকে অনেক ভালোবাসা আর শক্তি জানাই প্রিয় স্যাম’।
অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, 'মাস কয়েক আগে আমি মায়োসাইটিস নামক একটি অটোইমিউন (স্বতঃঅনাক্রম্য) রোগে আক্রান্ত হয়েছি। ভেবেছিলাম এই সমস্যাটা একটু লাঘব হলে তোমাদের জানাব, তবে একটু বেশিই সময় লাগছে’।
এরপর সামান্থা যোগ করেন, ‘আমাক মনে হল সবসময় নিজেকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরবার দরকার পড়ে না। নিজের দুর্বলতাকে স্বীকার করে নেওয়াটা এমন একটা বিষয় যার সঙ্গে আমি এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসকরা আশাবাদী আমি খুব শীঘ্রই সেরে উঠব। আমার ভালো দিন যাচ্ছে, খারাপ দিন যাচ্ছে… শারীরিক এবং মানসিকভাবে। মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে আর একটা দিনও আমি সহ্য করতে পারব না। তখনই দেখছি সেই মুহূর্তটা কেটে যাচ্ছে, আমার মনে বলছে- আমি সুস্থতার পথে আরও একটু এগিয়ে গেলাম। অনেক ভালোবাসা সকলকে’।