অটোইমিউন রোগ মায়োসাইটিসে আক্রান্ত ‘ওহ আন্তাভা’ গার্ল। গত বছর অক্টোবরে এই খারাপ খবর নিজেই প্রকাশ্যে আনেন সামান্থা প্রভু। শরীর জুড়ে অসহ্য যন্ত্রণা, তবুও থেমে নেই সামান্থা। চিকিৎসার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে। অনেক সময়ই গুজব শোনা গিয়েছে অসুস্থতার কারণে কাজ হাতছাড়া হয়েছে সামন্থার তবে বাস্তব ছবিটা কিন্তু একেবারে উলটো। পেশি প্রদাহের রোগ সহ্য করেও নিজের পেশাদার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি সামন্থা। সম্প্রতি ‘শকুন্তলম’-এর ট্রেলার লঞ্চেও হাজির হয়েছিলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে সাদা শাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সামান্থা, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। খুব অল্প সময়ের জন্যই তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়েছে, মঞ্চে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সামান্থা, ঝরঝরিয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর মাঝেই আবার শুরু হয়েছে নতুন ফিসফাস। সামান্থার জৌলুস নাকি ফিকে হয়ে গিয়েছে, আগের মতো রূপ আর নেই- আজকাল মোটেই সুন্দর লাগে না অভিনেত্রীকে।
সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন কটাক্ষ ছড়িয়ে পড়তেই মোক্ষম জবাব দিলেন সামন্থা। আসলে মুখ বুজে কোনও কিছুই সহ্য করার পাত্রী নন তিনি, সেই প্রমাণ অতীতে বহুবার দিয়েছেন স্যাম। নিজের টুইটারের দেওয়াল থেকে নিন্দকদের উদ্দেশে তাঁর জবাব,'আমি প্রার্থনা করব, আমার মতো আপনাদের কাউকে যাতে মাসের পর মাস চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যেন যেতে না হয়। ভালোবাসা নিন ও নিজেদের ঔজ্জ্বল্য বাড়ান।’
সামান্থার এই সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছে অনুরাগীরা। অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানও পাশে দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণী সুন্দরীর। টুইট বার্তায় বরুণ জানান, ‘তোমাদের কিছুতেই খারাপ লাগে না, তোমরা শুধু নিজেদের ক্লিকবেট নিয়ে ভাবো, খারাপ লাগছে তোমার জন্য বাছা। আর ঔজ্জ্বল্য তো ইনস্টাগ্রাম ফিল্টারেও পেয়েছে যাবে। সবে দেখা হয়েছিল স্যামের (সামান্থা) সঙ্গে, বিশ্বাস করুন ও গ্লো করছে’।
নেতিবাচক বিষয়কে সবসময় এড়িয়েই চলেন সামান্থা। সম্প্রতি ‘শকুন্তলম’-এর ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘জীবনে যাই ঘটে যাক না কেন, সিনেমার প্রতি ভালোবাসা সবসময় অটুট, একমাত্র সিনেমাই আমার সেই ভালোবাসা একশ গুণ করে ফিরিয়ে দিতে পারে।’
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ অবলম্বনেই তৈরি এই ছবি। সামান্থার বিপরীতে এই ছবিতে রয়েছেন দেব মোহন। পরিচালক গুণশেখরের এই ছবি মুক্তি পাবে আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি।
অটোইমিউন রোগ মায়োসাইটিস থেকে রেহাই পেতে প্রথমে ভারতে, পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসা করিয়েছেন সামান্থা। থামবার পাত্রী নন তিনি, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘দ্য ফ্যামিলিম্যান’-এর রাজি।