বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sanjay Dutt: ড্রাগস নিয়ে ঘুম, ২ দিন পর খিদেতে জ্ঞান ফেরে! তারপর যা হয়েছিল সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে…

Sanjay Dutt: ড্রাগস নিয়ে ঘুম, ২ দিন পর খিদেতে জ্ঞান ফেরে! তারপর যা হয়েছিল সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে…

ড্রাগসের নেশায় দু দিন অজ্ঞান ছিলেন সঞ্জয় দত্ত। 

‘জীবনের ১০টা বছর হয় ঘরবন্দি হয়ে কাটিয়েছে না হয় বাথরুমে’, এর আগেও এমন কথা শোনা গিয়েছিল সঞ্জয় দত্তর মুখে। এবার জানালেন ড্রাগস নিয়ে দু দিন অজ্ঞান ছিলেন তিনি। 

সঞ্জয় দত্তের ড্রাগসে আসত্তি ও রিহ্যাবে যাওয়ার কথা সকলেই জানেন। অভিনেতা নিজেও জীবনের এই কালো অধ্যায়কে সামনে এনেছন তিনি। একবার জ্যাকি শ্রফকে নিয়ে সলমন খানের ‘দশ কা দম’-এ এসেছিলেন তিনি। সেখানে জ্যাকির অনুরোধে নিজের ড্রাগস নেওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যাতে কলেজের পড়ুয়া বা ড্রাগ অ্যাডিক্টদের কাছে বার্তা পৌঁছয় এটি ব্যক্তিগত জীবনে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে সেই বিষয়ে। 

সঞ্জয় জানান, ‘ড্রাগস একটা বেকার জিনিস’। এরপর নিজের জীবনের একটা ঘটনা তুলে ধরেন, ‘একদিন সলিড নেশা করে বাড়ি ফিরেছি। ঘরে গিয়ে লক করে শুয়ে পড়েছি। এবার ঘুম ভাঙল দিনের বেলা, তখন ঘড়িতে ৭-৮টা বাজে। খিদেতে ঘুম ভেঙেছিল আসলে। আমি আমাদের এক চাকর, অনেক পুরনো চাকরকে বললমা, আমাকে কিছু খাবার দে।’

‘‘ও দেখি কাঁদতে শুরু করেছে। বলছে, ‘দুই দিন পর তুই খাবার চাইছিস’। আমি বললমা ‘দুই দিন কোথায়? কাল রাতে এসেই তো শুতে গেলাম।’ ও বলল, ‘না তুই দুইদিন আগে ঘুমিয়েছিলি’। আমার কোনও হুঁশই ছিল না। ওইদিনই আমি ঠিক করি এরপর সব ছেড়ে দেব। এইসব ড্রাগস কিচ্ছু না। জীবনের নেশা সবচেয়ে ভালো।’’

এছাড়াও বহুবার সঞ্জয় দত্ত সেই সময়ের কথা বলেছেন তিনি যখন ড্রাগস নিতেন। বছরের শুরুতে রণবীর এলাহাবাদিয়ার শো-তে এসে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি ছোটবেলায় খুব লাজুক ছিলাম। বিশেষ করে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পেতাম। তাই নিজেকে কুল দেখাতে ড্রাগস নেওয়া শুরু করলাম। এভাবে জীবনের ১০টা বছর কোথায় যেন হারিয়ে গেল। হয় আমি বন্ধ ঘরে থাকতাম বা বাথরুমে। শ্যুটের কোনও উৎসাহই ছিল না। জীবনটা এরকমই। এরপর যখন রিহ্যাব থেকে বেরিয়ে কাজে যোগ দিলাম, সবাই আমাকে ‘চরসি’ (charsi) বলে ডাকত। আর আমার মনে হয়, এটা ভুল।’’

সঞ্জয়কে শেষ দেখা গিয়েছে ‘শামশেরা’-তে, যা বক্স অফিসে ফ্লপ করে। এরপর তাঁকে দেখা যাবে ‘গুড়চড়ি’-তে। যাতে থাকবেন রবিনা ট্যান্ডনও। 

বন্ধ করুন