পরনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, গলায় গামছা, গয়ায় গিয়ে বাবা-মায়ের পিণ্ডদান করলেন সঞ্জয় দত্ত। আর পাঁচজন সাধারণের মতোই গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দিরে বসে পিণ্ডদান করতে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। বৃহস্পতিবার সকালে সঞ্জয় তাঁর প্রয়াত বাবা-মা, সুনীল দত্ত এবং নার্গিস দত্তের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এদিকে এদিন নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকা সত্ত্বেও অনুরাগীদের ভিড়ে চিড়েচ্যাপটা হওয়ার জোগাড় হয় সঞ্চু বাবার। এদিন হিন্দু, সনাতন রীতি মেনে পিণ্ডদান করতে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো উঠে এসেছে সংবাদ সংস্থা ANI-এর মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, পিন্ড দান হল এক হিন্দু আচার, যার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। মূলত গয়া সহ মোট তিনটি পবিত্র স্থানে মৃতের আত্মীয়রা এই ক্রিয়াকর্ম করে থাকেন। আচারটি প্রায় দুই ঘন্টা সময় নিতে পারে আবার এক দিনেও সম্পন্ন করা যেতে পারে। এদিন সঞ্জয় দত্ত যে বিষ্ণুপদ মন্দিরে পিণ্ডদান করতে গিয়েছিলেন, তার কাছেই রয়েছে ফাল্গু নদী এবং অক্ষয় বট গাছ।
এদিন পিণ্ডদান করতে গিয়ে জনসমক্ষে সামনে 'জয় ভোলেনাথ' স্লোগান তুলতেও দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। মুখ খোলেন অযোধ্যা রাম মন্দির ইস্যুতেও।
অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে, এবিষয়ে সঞ্জয় দত্তকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘হ্য়াঁ খুব ভালো একটা বিষয় হতে চলেছে।’এরপর জয় শ্রীরাম বলে ফেলেও পরক্ষণেই জয় ভোলেনাথ বলে স্লোগান তোলেন তিনি। এসব দেখে নেটপাড়ার একাংশ বলছে, ‘হয়ত বিতর্ক হতে পারে বুঝেই জয় শ্রীরাম বলেও পরিবর্তে ভোলেনাথ বলে ওঠেন সঞ্জু বাবা’। তবে এদিন আবার সঞ্জয় দত্ত অযোধ্যার রামমন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, সঞ্জয় দত্তের বাবা অভিনেতা সুনীল দত্ত অবশ্য একসময় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি তৎকালীন কংগ্রেস (মনমোহন সিং) সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।
এদিকে কাজের ক্ষেত্রে সঞ্জয়কে পরবর্তীতে সাই-ফাই হরর কমেডি ফিল্ম ‘দ্য ভার্জিন ট্রি’তে দেখা যাবে। সম্প্রতি 'ওয়েলকাম টু জঙ্গল'-এর শ্যুটিংও শেষ করেছেন সঞ্জয় দত্ত। মারণ রোগ ক্যানসারকে কাবু করেই শ্যুটিং ফ্লোরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সঞ্জয়।