করোনা, লক ডাউনের সময়তেই ক্যানসার ধরা পড়ে সঞ্জয় দত্তের! কেমন ছিল সেই সময়ের অভিজ্ঞতা? রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বা ঠিক কী মাথায় এসেছিল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল অভিনেতাকে।
সঞ্জয় জানান, বোন প্রিয়াঙ্কা তাঁকে প্রথম ক্যানসার হওয়ার খবর দেয়। সঞ্জু বাবা জানান, একথা শুনে তিনি কয়েকঘণ্টা কেঁদেছিলেন। মাথায় এসেছিল বাচ্চাদের কথা, বউয়ের কথা। তবে কীভাবে নিজেকে সামলে নেন সেকথাও জানান তিনি। সাথে ডাক্তাররা যখন তাঁকে কেমোথেরাপির সাইড এফেক্টস নিয়ে সাবধান করে দিয়েছিলনে, তখন তাঁর উত্তর কী ছিল সেটাও জানান।
২০২০-র অগস্টে স্টেজ ৪ ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়েছিল সঞ্জয় দত্তের। ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় জানান, ‘লকডাউনের একটা দিন ছিল। আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠলাম। হঠাৎ দেখি শ্বাস নিতে পারছি না। কোনওরকমে স্নান করলাম। তারপর আমার ডাক্তারকে ডাকলাম বাড়িতে। দেখা গেল আমার ফুসফুসের অর্ধেকে জল জমে আছে। তা পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়। ওরা সবাই ভাবছিল টিবি হতে পারে, কিন্তু দেখা গেল না এটা ক্যানসারই।’ আরও পড়ুন: মাদকের নেশার শুরু কীভাবে? কালো দিন নিয়ে অকপট সঞ্জয়, ‘রাস্তায় চরসি বলে ডাকত…’
‘এরপর আমাকে এটা কীভাবে জানানো হবে, সেটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আমি হয়তো শুনে কারও মুখ ভেঙে দিতাম। তাই আমার বোন আমাকে ক্যানসারের খবর দেয়। তখন আমার জবাব ছিল, ‘আচ্ছা, আমার ক্যানসার হয়েছে। এবার?’ সাধারণত এরপর লোক পরিকল্পনা শুরু করে এটা করব, ওটা করব। কিন্তু আমি কাঁদতে শুরু করি। দু'-তিন ঘণ্টা কেঁদেছিলাম। আমার বাচ্চাদের কথা, আমার জীবনের কথা, বউয়ের কথা মাথায় আসছিল। এরপর নিজেকে সামলে নেই।’, জানান সঞ্জয় দত্ত।
ভিসার সমস্যার জন্য প্রথমে দেশেই চিকিৎসা শুরু করতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। তারপর তাঁকে ডাক্তারের খোঁজ দেন হৃতিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশন। সেই ডাক্তার যখন তাঁকে কেমোথেরাপির পর চুল ওঠা, বমির ভয় দেখিয়েছিল, তখন সঞ্জয়ের জবাব ছিল, ‘মেরেকো কুছ নেহি হোয়েগা’। কেমোথেরিাপির পর এক ঘণ্টা সাইকেল চালাতেন সঞ্জয় রোজ। দুবাইতে গিয়ে যখন কেমো নিতেন তখন ব্যাডমিন্টনও খলেছেন। এখন তিনি ক্যানসারকে হারিয়ে পুরোপুরি সুস্থ।