সালটা ছিল ২০০৩। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ মুক্তির পর দর্শকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘মুন্নাভাই’ এবং ‘সার্কিট’। অভিনয়ে করেছেন সঞ্জয় দত্ত এবং আরশাদ ওয়ারসি। পর্দায় এই দুই চরিত্রের উজ্জ্বল উপস্থিতি দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। এর তিন বছর বিরতির পর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘লগে রহো মুন্নাভাই’। সেখানেও বাজিমাত করেছেন এই দুই অভিনেতা। দু’টি ছবিই তুমুল বক্স অফিস সাফল্য পায়।
এরপরই বলিউডে একাধিক সময় গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, মুন্না ভাই সিরিজের তৃতীয় ছবির কাজ শুরু হবে। যদিও সে বিষয় চূড়ান্ত কিছু শোনা যায়নি। ২৬ জানুয়ারি আচমকা আরশাদ ওয়ারসির সঙ্গে একটি ছবি টুইট করেন সঞ্জয় দত্ত। আভাস দেন নতুন ছবিতে জুটি বাঁধার। ছবিতে দুই অভিনেতাকে জেলের আসামীর পোশাকে দেখা মিলেছে। দুজনে জেলের গরাদের পিছনে। মুখে বিষণ্ণতার ছাপ।
ছবিটি শেয়ার করে সঞ্জয় দত্ত লেখেন, 'আপনাদের মতো আমাদের প্রতীক্ষারও অবসান ঘটল। আমার ভাই আরশাদের সঙ্গে আরও একটা দারুণ ছবির জন্য জুটি বাঁধলাম। আপনাদের ছবিটা দেখানোর জন্য আর তর সইছে না আমার।’ তবে কী হবে এই ছবির নাম, তা প্রকাশ্যে আনেনি অভিনেতা। আরও পড়ুন: ‘গদর ২’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে, ফের তারা সিং হয়ে ফিরছেন সানি দেওল
জানা যাচ্ছে, হিন্দি ভাষায় এই ছবির প্রযোজনায় সঞ্জয় দত্ত নিজে। পরিচালকের আসনে সিদ্ধান্ত সচদেব। ছবির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও এই ছবি দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাবে কি মুন্না ভাই সিরজের তৃতীয় ছবির ঘোষণা হয়ে গেল। আবার দীর্ঘ দিন পর মুন্না ভাই ও সার্কিটকে একসঙ্গে দেখে ভালোলাগা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনার। আবার কেউ কেউ ‘জাদু কি ঝাপ্পি’র কথা মনে করেছেন।
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে ফিরে এসেছেন সঞ্জয় দত্ত। ২০২২ সালের অন্যতম উপার্জনকারী ছবি ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’-তেও অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি ক্যানসারের সঙ্গে যে দীর্ঘ লড়াই তিনি চালিয়েছিলেন তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে জানতে পারার পর মনের ভাব কীরকম হয়েছিল, সেটাও জানান।
ক্যানসার শোনার পর মাথায় কী এসেছিল সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সঞ্জুবাবা জানান, ‘এরকম ক্ষেত্রে না পুরো জীবনটা ফ্ল্যাশব্যাকে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর আমার পরিবারেই তো ক্যানসারের হিস্ট্রি রয়েছে। আমার মা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে মারা গিয়েছেন। আমার বউ (রিচা শর্মা) মারা গিয়েছে ব্রেন ক্যানসারে। আমি প্রথম যে কথাটা বলেছিলাম তা হল, কেমোথেরাপি নেব না আমি।’
অভিনেতা যোগ করেন, ‘যদি মরতেই হয় তাহলে এমনি মরব, কোনও চিকিৎসা নিয়ে কেন মরব।’ তবে এরপর চোখের সামনে পরিবার ও কাছের মানুষদের ভেঙে পড়তে দেখে ঠিক করেন ক্যানসারের চিকিৎসা করাবেন। তাঁর কথায়, ‘এক রাতে আমি হঠাৎই ঠিক করলাম আমি যদি ভেঙে পড়ি আমার পরিবার আমার কাছের মানুষরাও ভেঙে পড়বে, অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমাকে লড়তে হবে।’ ক্যানসার নিয়েই কেজিএফের শ্যুট করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত।