‘রেশন লাইনে থাকা ৪ মধ্যবিত্ত মহিলার থেকে, গণিকারা আমায় বেশি আকৃষ্ট করে’, বিস্ফোরক মন্তব্য বনশালির

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হীরামান্ডি দেখেছে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক। একসময়ের বিখ্যাত যৌনপল্লী হীরামান্ডি বা হীরাবাজারের গণিকারা সঞ্জয় লীলা বনশালির সিরিজের নায়িকা।

হীরামান্ডি দিয়ে ওটিটি-র দুনিয়ায় পা রাখলন সঞ্জয় লীলা বনশালি। যা মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। আর নেমেই ছক্কা। প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক টেনে রীতিমতো রেকর্ড করেছে এই ওয়েব সিরিজটি। বনশালির তৈরি সিনেমায় বরাবরই দেহপসারীদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। 'দেবদাস'-এ মাধুরী দীক্ষিত হোক বা 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি'-তে আলিয়া ভাট। আর এখন হীরামান্ডি-তো একসময়ের বিখ্যাত রেড লাইট এরিয়া-র উপরেই তৈরি করা হয়েছে। মল্লিকা জান, ফরিদান এবং অন্যরা উঠে এসেছে সেই প্রেক্ষাপট থেকেই। 

গণিকাদের প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি

Galatta Plus-এর সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, বনশালি তাঁর সিনেমায় গণিকাদের চরিত্র আনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি এই মহিলাদের মধ্যে অনেক রহস্য আছে। গণিকা হোক বা যৌনকর্মী, বা দেহপসারিণী, তাঁরা একদম আলাদা। তাঁদের মধ্যে বরাবরই একটা আলাদা রকমের শক্তি থাকে, যা আমার খুব আকর্ষণীয় মনে হয়। তাঁরা নাচ করে, গান গায়। আর এই নাচ-গানের মাধ্যমেই জীবনের আনন্দ, কষ্টগুলোকে ফুটিয়ে তোলে। আর্ট অফ লিভিংয়ের কদর এদের কাছে গেলে বোঝা যায়, এদের পোশাকের রুচি রয়েছে। কেমন ধরনের গয়না পরতে হয়, সেটাও তাঁরা জানেন। তাঁরা শিল্পের অনুরাগী।’

আকৃষ্ট করে না মধ্যবিত্ত মহিলারা

‘আমরা কি? আমরা শিল্পী? আপনারা ওঁদের যে নামেই ডাকুন না কেন, আমার তাঁদের দরকার। আমাকে এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা রহস্যময়। আমি যখন স্কুলে যেতাম, এই মুখগুলো আমার মধ্যে একটা জিজ্ঞাসা তৈরি করত। রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই চারজন মধ্যবিত্ত মহিলারা কখনোই আমার মধ্যে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি।’, আরও বললেন বনশালি। 

‘হীরামান্ডি’ সিরিজ প্রসঙ্গে

'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'-এ সঞ্জয় লীলা বনশালি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় লাহোরের হীরা মন্ডিতে বসবাসকারী গণিকাদের জীবন তুলে ধরেছেন। এই সিরিজে মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, সঞ্জিদা শেখ এবং শরমিন সেহগালরা অভিনয় করেছেন।