রাজকুমার রাও এবং তৃপ্তি দিমরির আসন্ন ছবি 'ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিয়ো' মুক্তির আগে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। প্রযোজক সঞ্জয় তিওয়ারি ছবির পরিচালক রাজ শাণ্ডিল্যের বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে, প্রযোজক 'ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিয়ো'-এর নির্মাতাদের আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন।
সঞ্জয় তিওয়ারি বলেছেন, রাজ শান্ডিল্যার 'ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিয়ো'-এর গল্প তাঁর ছবির গল্পের মতোই। তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর ছবির গল্প গুলবানু খান লিখেছেন, যা ২০১৫ সালে ফিল্ম রাইটারস অ্যাসোসিয়েশনে সাময়িক ভাবে ‘সেক্স হ্যায় টু লাইফ হ্যায়’ নাম দিয়ে নিবন্ধিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তৃপ্তির মা মাধুরী দীক্ষিত? নেপথ্যে রয়েছেন সুরেশ ত্রিবেণী! ব্যাপার কী?
একটি সাক্ষাৎকারের সময়, সঞ্জয় তিওয়ারি বলেছিলেন 'আমি ২০১৭-২০১৮ সালে এই বিষয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলাম। 'সেক্স হ্যায় টু লাইফ হ্যায়' ছবির নাম ২০১৫ সালে ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ফিল্ম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধিত করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কারণে, ছবিটি শুরু করতে দেরি হয়েছিল। এরপর শুরু হয় কোভিড। আমরা যখন 'ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও'-এর ট্রেলার দেখেছিলাম, তখন আমাদের মনে হয়েছিল যে এটা আমাদের ছবির গল্প। আমরা ২ দিন আগে ছবির নির্মাতাদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। এখন টি-সিরিজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং তারা বলেছে যে এটা তাদের অরিজিনাল গল্প।'
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ শাণ্ডিল্যের টিম জানিয়েছে যে তারা ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তাদের অরিজিনাল গল্পের ভাবনা ‘উথাল- পুথাল’ নামে নিবন্ধিত করেছিল। গল্পটি লিখেছিলেন ইউসুফ আলি খান।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে সঞ্জয় এই দাবি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ' ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ইউসুফ এবং তাঁর টিম গল্পটি 'উথাল- পুথাল' নামে নিবন্ধিত করেছিল। কিন্তু আমি তার সম্পূর্ণ দুই মাস আগে ২০১৫ সালের ২৮ অগস্ট আমাদের গল্পটি নিবন্ধন করেছিলাম। একবার কোনও গল্প নিয়ে কেউ কাজ করবে ঠিক করলে সেক্ষেত্রে অন্য কেউ সেই একই ধরণের গল্পের উপর কাজ করতে চাইলে চিত্রনাট্যে নানা ভাবে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে অনুমতি ছাড়া আসল গল্পটার অনুরকণে কোনও ছবি করা গুরুতর অপরাধ।'
আরও পড়ুন: বাংলো বিক্রির টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি! কঙ্গনার নতুন গাড়ির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে
তিনি আরও বলেন, ‘আমি 20 বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। আমি আশা করি রাজ ও তাঁর টিমের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।' সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, সঞ্জয় বলেন, ‘প্রয়োজনে আমি ছবিটি যাতে মুক্তি না পায় সেই দরখাস্ত করব হাইকোর্টে। তবে আমি কারও ক্ষতি করতে চাই না।’ তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি রাজের আইনি দলের প্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন এবং বিষয়টির একটি জরুরি সমাধানের আশা করছেন।
তবে রাজের বিরুদ্ধে গল্প অনুকরণ করার অভিযোগ এই প্রথম নয়। পরিচালকের বিরুদ্ধে এর আগেও ‘ড্রিম গার্ল’ এবং ‘জনহিত মে জারি’ নকল করার অভিযোগ ছিল। এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করা হয়েছিল।
সঞ্জয় এই চুরির বিষয়ে চিত্রনাট্যকার সমিতির (SWA) সঙ্গে যোগাযোগ করে কথাও বলেছেন। তিনি এসডব্লিউএ- এর পদ্ধতির প্রতি তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ‘আমি ওঁদের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য আমাকে ছবিটি মুক্তির পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। এত সদস্য থাকা সত্ত্বেও, ডিজিটাল যুগে ওঁদের কাজের শোচনীয় হাল।’
‘ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিয়ো’ ছবিটি ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রাজকুমার রাও এবং তৃপ্তি দিমরি। এছাড়াও বিজয় রাজ এবং মল্লিকা শেরাওয়াতের মতো অভিনেতাদেরও এই ছবিতে দেখা যাবে।