‘সাঁঝের বাতি: নতুন পৃথিবী’ দর্শক মনে দাগ কাটতে পারেনি, অন্তত টিআরপি তালিকা তেমনটাই ইঙ্গিত দেয়। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ধারাবাহিকে পূর্ণ বিরাম দিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। গ্রামের সরল, সাদাসিধে মিষ্টি বিক্রেতা চারু আর বড়লোক বাড়ির অন্ধ ছেলে আর্যর প্রেমের কাহিনি নিয়ে শুরু হয়েছিল সাঁঝের বাতি। গল্পের নানা মোড় ঘুরে অবশেষে ইতি পড়ে আর্য-চারুর কাহিনিতে। তবে নতুন পৃথিবীতে নতুন রূপে ফেরে তাঁরা। কিন্তু অর্জুন-চিকুর সেই গল্প আর বেশিদিন টিভির পর্দায় দেখতে পাবেন না দর্শকরা। শ্যুটিং শেষ হল ‘সাঁঝের বাতি: নতুন পৃথিবী’র।
শনিবার ধারাবাহিকের ৮০০তম এপিসোডের শ্যুটিং সারল অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখ, দেবচন্দ্রিমা সিং রায়-রা। আর সেটাই তাঁদের যাত্রার শেষ, এমনটা নিয়েই ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখ মানে গল্পের অর্জুন বা আর্য। শেষ কয়েক মাস টিআরপি তালিকায় নীচের দিকে থাকলেও বরাবরই চর্চায় থেকেছে রিজওয়ান-দেবচন্দ্রিমার অনস্ক্রিন রসায়ন। একটা শ্রেণির দর্শকদের পছন্দের জুটি তাঁরা। বর্তমানে তাঁদের অফ-স্ক্রিন রোম্যান্সের চর্চাও কম নয়। যদিও পরস্পরকে ভালো বন্ধু বলতেই স্বচ্ছন্দ তাঁরা।
শেষদিনের শ্যুটিংয়ে স্বভাতই ইমোশ্যানাল গোটা টিম। কেক টেকে চলল ৮০০ পর্বের উদযাপন, কিন্তু বিদায়ের সুরে মন খারাপের বাদ্যি বাজছে। এদিন পরস্পরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলল না কেউই, সেটে চলল দেদার সেলফি পর্বও। এদিন শ্যুটিং সেটে হাজির ছিলেন প্রযোজক স্নিগ্ধা বসু ও সানি দাস।
প্রায় তিন বছর দর্শকদের সঙ্গে জুড়ে ছিল আর্য-চারু এবং অর্জুন-চিকু। সেট থেকে শেষবারের জন্য অনুরাগীদের উদ্দেশে এই জুটির বার্তা, ‘হয়তো দুটো লকডাউন না থাকলে এতদিনে ১০০০ এপিসোড হয়ে যেত আমাদের। সবের ভাগ্য আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে, আমরা ৮০০ পর্বেই ইতি টানছি’। দেবচন্দ্রিমা জানালেন, এই সফরটা তাঁর মনের খুব কাছের এবং আজবীন স্মৃতিতে থেকে যাবে। রিজওয়ান বললেন, ‘আমরা খুব এনজয় করেছি এই কাজটা, আশা করছি তোমরাও ততটাই এনজয় করেছো’। খুব তাড়াতাড়ি নতুনভাবে ফিরে আসবার বার্তাও রইল দুজনের তরফে।
কবে শেষবার সম্প্রচারিত হবে ‘সাঁঝের বাতি’, তা স্পষ্ট নয় তবে আগামী সপ্তাহের শেষেই হয়ত ইতি পড়বে অর্জুন-চিকুর সফরে।