সারা আলি খানকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষের আক্রমণের মুখে তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগ, তিনি নাকি এক নিরাপত্তারক্ষীর শ্লীলতাহানি করেছেন।
ঘটনাটি কী ঘটেছে? সম্প্রতি বান্ধবী শেহগলের সঙ্গে এক রেস্তোরাঁয় দেখা গিয়েছিল সারা আলি খানকে। রেস্তোরাঁর বাইরে অপেক্ষা করছিলেন বহু আলোকচিত্রী। সারাকে সেখানে দেখে তাঁরা ছবি তোলা শুরু করেন। সারা হাসি মুখে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেও, সেখানে দাঁড়াননি। তিনি ধীরে ধীরে ভিতরে চলে যান।
ভিতরে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। অনেকের অভিযোগ সারার হাত ওই নিরাপত্তারক্ষীর শরীর ‘অদ্ভুত ভাবে’ ছুঁয়ে যায়। কারও কারও মত, এটিকে এক ধরনের শ্লীলতাহানিই বলা উচিত। আর এই নিয়ে ব্যাপক কাজিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সারার এই ভিডিয়োটি দেখার পরে এক দিকে জোরদার দাবি উঠেছে, সারা বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হওয়া উচিত। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে তিনি যেভাবে স্পর্ষ করেছেন, তা নাকি রীতিমতো শ্লালতাহানির পর্যায়েই পড়ে। অন্য এক দলের বক্তব্য, বিষয়টি মোটেও তা নয়। সারা একেবারেই সচেতনভাবে স্পর্ষ করেননি ওই নিরাপত্তারক্ষীকে।
কিন্তু এর মধ্যেই উঠেছে আর এক দাবি। অনেকের বক্তব্য, যখন এই ঘটনাটি ঘটেছে, তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অভিনেত্রী। তাঁকে দেখেই নাকি বোঝা যাচ্ছিল, তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এই প্রসঙ্গ ধরেই রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। কেন তিনি মদ্যপান করবেন, সেই প্রসঙ্গে নিয়েও নানা মহলে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
তবে এর পাশাপাশি অভিনেত্রীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। অনেকেরই দাবি, ভারতে মদ্যপান মোটেও বেআইনি নয়। ফলে অভিনত্রী যদি মদ্যপান করেও থাকেন, সেটিকে কোনও দোষ হিসাবে দেখানো যায় না। কারণ তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি।