সারেগামাপা-র হড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই খুদেরাও। চলতি সিজনের শুরু থেকেই একের পর এক ম্যাজিক্যাল পারফরম্যান্স দিয়ে বিচারক থেকে দর্শক সব্বার মন জিতে নিয়েছেন ইমন ও রাঘবের টিমের অতনু মিশ্র। কাঁথির এই ওয়ান্ডার বয় বয়সে ছোট হলে কী হবে তাঁর প্রতিভা তাক লাগায়। আরও পড়ুন-‘গাইতে হয় গাইছি, গানে মনটাই নেই…', যুগলকে ধমক ইন্দ্রদীপের, অখুশি ইমন-শান্তনুরা!
আঞ্চলিক স্তরের রিয়ালিটি শো-এর গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় মঞ্চে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করা এখন ট্রেন্ড, ওদিকে অতনু আগেভাগেই জি টিভি সারেগামাপা লিটিল চ্যাম্পের মঞ্চ মাতিয়েছে। সেখানে চতুর্থ স্থানে শেষ করে সে। এবার বড়দের ভিড়েও নিজের আলাদা একটা পরিচিতি গড়েছে কাঁথির ভূমিপুত্র।
সারেগামাপা-র সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে রবিবারের এপিসোডে শোনা গেল অতনুর গান। অস্কার জয়ী গীতিকার তথা কবি গুলজারকে সম্মান জানিয়ে সাজানো হয়েছিল সেদিনের এপিসোড। সেখানেই মাচিশ ছবির বিখ্যাত গান ‘চাপা চাপা চরখা চলে’ গেয়ে শোনালো অতনু।
সুরেশ ওয়াডকর, হরিহরণের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের নাম জড়িয়ে এই গানের সঙ্গে, এই গান গেয়ে গোল্ডেন গিটার জিতে নেয় অতনু। মঞ্চে এসেকে খুদেকে কোলে তুলে নিয়ে আদরে ভরিয়ে দেন শান্তনু মৈত্র। ছুটে আসেন রাঘব-জাভেদ আলিরাও।
এবার এই পারফরম্যান্সের নেপথ্যের গল্প শেয়ার করে নিল অতনু। খুদে গায়ক জানায়, জ্বর নিয়ে ওইদিন গেয়েছিল সে। প্রচণ্ড অসুস্থ ছিল, কাশির চোটে ভালোভাবে কথা বলাও হয়ে উঠেছিল দুষ্কর। নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে সে লেখেন, ‘গতকাল যে গান টি গাইলাম সেটির শুটিং এর সময় আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। জ্বর ও প্রচুর কাশি হয়েছিল। শুটিং ফ্লোরে যাওয়ার পথে ইমন ম্যাম এর সঙ্গে দেখা হয়। উনি গায়ে হাত দিয়ে নিজেই বলেন হ্যাঁ রে প্রচুর জ্বর। যাইহোক ভগবানের আশীর্বাদ ও আপনাদের ভালোবাসা র জোরে আমি সফল হয়েছি। সারাজীবন সকলের আশীর্বাদ নিয়ে চলতে চাই।’
এই পোস্টের সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি ভাগ করে নিয়েছে খুদে, সেখানে দেখা গেল গাল হাত দিয়ে অতনুকে আদর করছে তাঁর ইমন ম্যাম। শান্তনু মৈত্রর কোলে চেপে ফের গানটি শোনায় অতনু। জাভেদ আলি তো অতনুর গান শুনে বলেই ফেলেন, ‘এত রোগা পাতলা ছেলে, এই কণ্ঠ কোথা থেকে বার করে জানি না! আজ থেকে ওর নাম মেহফিল কা লুটেরা’।
আরও পড়ুন-ছোট থেকেই দু-চোখে ভালো দেখতে পান না! দিবাকরের জীবনের চরম সত্যি শুনে চোখ জল সবার
সময় যত গড়াচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে সারেগামাপা-র মোকাবিলা। এই বছর লড়াই শুধু প্রতিযোগিদের মধ্যে নয়, লড়াই জমে উঠেছে বিচারকদের মধ্যেও। কার টিমের প্রতিযোগির মাথায় উঠবে সেরার মুকুট সেইদিকেও নজর সকলের। রববিবার গুলজার স্পেশ্যাল এপিসোডে জমে উঠেছিল টক্কর। তবে হিরো অফ দ্য উইকের খেতাব জিতে নিয়েছে দিবাকর।