বাড়ি কাঁথিতে। আর বয়স মাত্র ১২। এর মধ্যেই দেশবিদেশের মানুষ তার গান শুনে মুগ্ধ। এই কিশোর আর কেউ নয়, সারেগামাপা-২৪ জয়ী অতনু মিশ্র। গত ৯ মাস ধরে সারেগামাপা-তে তার গান শুনেছেন দর্শক-শ্রোতারা। বিচারকরাও ছিলেন মুগ্ধ, এরপর ২ মার্চ, সারেগামাপা গ্রান্ড ফিনালেতে দেয়াশিনী রায়ের সঙ্গে যুগ্ধভাবে জয়ী হয় অতনু। ছোট্ট অতনুর জয়ে গর্বিত তার বাবা-মা ও পরিবার।
হ্য়াঁ, গান তো অতনুর জীবনে খুবই প্রিয়, তবে তার আরও একটি প্রিয় বিষয়ও রয়েছে। সেটা হল দুষ্টুমি। এটা করে বেশ ভালোই লাগে এই খুদে শিল্পীর। বিশেষ করে দিদির সঙ্গে খুনসুটি করতে বেশ ভালোই লাগে অতনুর। তবে শুধুই কি খুনসুটি, নাহ, বড় দিদিকে বেশ ভালোওবাসে অতনু। আর এবার দিদিকে জড়িয়ে ধরেই আদরে ভরিয়ে দিতে দেখা গেল ছোট্ট অতনুকে। যদিও মূল উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল দিদিকে জ্বালাতন করার।
ছোট্ট শিল্পীর ফেসবুকে উঠে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে। চেয়ারে বসে রিমোর্ট হাতে টিভিতে খেলা দেখছিলেন অতনুর দিদি। আর তখনই শুরু হল ভাই-এর জ্বালাতন। এসে দিদিতে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে থাকে অতনু। দিদিকে জড়িয়ে ধরে সে। ভাই-এর জ্বালাতনে অগত্য় দিদিও বলল, ‘এই তুই যা…’। ভাই-বোনের সেই সুন্দর মুহূর্তটিই উঠে এসেছে ফেসবুকের পাতায়। প্রসঙ্গত, অতনুর কাঁথির বাড়িতে থাকে তার মা-বাবা, দিদি, আর বিড়াল অরেঞ্জ।
আর পড়ুন-‘কী হেরে ফিরে গেলে তো… সেদিন ওই কথাটায় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম’, কতঘণ্টা রেওয়াজ করতেন দেয়াশিনী?
এই মুহূর্তে অতনু মিশ্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি সারেগামাপা-এর বিজেতা হিসাবে নাম ঘোষণার ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল, সেকথা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে শেয়ারও করেছেন অতনু মিশ্র। খুদে শিল্পী বলে, ‘খুব আনন্দ হচ্ছিল। যখন বিজেতার নাম ঘোষণা হবে, তখন ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপছিল। তারপর যখন ফার্স্ট রানার আপ আর সেকেন্ড রানার আপের নাম ঘোষণা হল, তখন আমার মনে হচ্ছিল আমি হয়তো জিতলেও জিততে পারি। তারপর যখন আমর নাম নেওয়া হল, আমি তো সারা স্টেজ আনন্দে লাফিয়েছি।’
অতনু জানায়, সারেগামাপা-তে থাকাকালীন তার সবথেকে বেশি বন্ধুত্ব হয়েছিল শিল্পী অনীক জানার সঙ্গে। অতনুর কথায়, ‘সারেগামাপা-র সবাইকে খুব মিস করছি। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল অনীক। আমরা দুজন মিলে অনেক দুষ্টুমি করতাম।’