কিশোর কুমার থেকে মহম্মদ রফি, মুকেশ থেকে আরডি বর্মণের গান গেয়ে সারেগামাপা-র মঞ্চে হইহই ফেলে দিয়েছে খুদে অনীক। জোজো-জাভেদের টিমের এই ‘ওয়ান্ডার বয়’ সারেগামাপা-র চলতি সিজনের অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে ‘জুনিয়র কিশোর কুমার’-এর খেতাব সে আগেই পেয়েছে, এবার অনীকে মুগ্ধ সৃজিত-দেবরা। আরও পড়ুন-চাষজমির উপর ছোট্ট বাড়ি, কোথা থেকে উঠে এসেছে সারেগামাপা-র প্রতিযোগী অনীক জানা, দেখে নিন তাঁর জগৎ…
সারেগামাপা-র শনিবারের এপিসোডে হাজির হয়েছিল টিম টেক্কা। সেখানেই অনীকের ‘কারনামা’ সম্পর্কে দেব-সৃজিতদের খোলাখুলি জানালেন আবির। পুজো স্পেশ্যাল এপিসোডে খুদে অনীককে দেখা গেল লাল পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতিতে। কোলাঘাটের ভূমিপুত্র অনীক এতদিন নিজের বয়সের চেয়ে একটু বেশি ম্যাচিওর গান শুনিয়ে এসেছে। কিশোর কুমারের ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গ’ কিংবা মুকেশের ‘জানে কাঁহা গয়ে ওহ দিন’। এই কথা শুনেই সৃজিতের মাথায় হাত। এইটুকু বাচ্চা ছেলে পুরোনো দিনের এই সমস্ত দরদ ভরা গায়, ভেবেই অবাক পরিচালক। হাঁ রুক্মিণী-স্বস্তিকারাও।
সৃজিত তো বলেই ফেললেন, যে কুছ তো লোক কহেঙ্গে গানটি শুনতেই হবে। টেক্কা টিমের জন্য অবশ্য নিজের বয়সের সাথে মানানসই গানই পেশ করল অনীক। শনিবার পুজোর আমেজে ভেসে সে গেয়ে শোনালো, ‘এক এক্কে এক…’। দুর্দান্ত গান গেয়ে গোল্ডেন গিটারও জিতে নেয় সে। উঠে দাঁড়িয়ে খুদেকে উৎসাহিত করলেন দেব-সৃজিতরা। অনীকের গান শুনে সৃজিত বললেন, ‘খুব ভালো গেয়েছে, এটাই ওর জন্য আইডল গান’। এরপর সবার অনুরোধে অনীক গেয়ে শোনায়, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’ এবং ‘বাহারো ফুল বরসাও’।
অনীকের পারফরম্যান্স শেষে তাঁকে বুকে টেনে নেন স্বস্তিকা-রুক্মিণীরা। দেব তো কোলেই তুলে দিলেন! মেদিনীপুরের কোলাঘাটের ছেলে হল অনীক। বয়স মাত্র ৭। অনীক তাঁর বাবা-মা'র কাছেই গানের তালিম নিয়েছে। একবার অনীকের মা জানিয়েছিলেন, ৩ বছর থেকেই গানবাজনার প্রতি ঝোঁক ছেলের। তাঁর কথায়, 'আমি যখন রেওয়াজ করতাম, বা গান করতাম, ও শুনে শুনে সেই গানটা তুলে নিত। আমিই ওকে রেওয়াজ কীভাবে করতে হবে ওকে দেখিয়ে দি। ও কোনও টিচারের কাছে শেখে না, ওকে আমরাই বাড়িতেই শেখাই।’